এপ্রিল ২০, ২০২৫
Bangla Online News Banglarmukh24.com
ইসলাম ধর্ম

চিন্তামুক্ত থাকার আমল

হতাশা ও দুঃশ্চিন্তার কারণেই মানসিক চাপ সৃষ্টি হয়। চিন্তামুক্ত থাকার মাধ্যমেই মানসিক চাপ থেকে বাঁচার উপায়। নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যে কোনো বিষয়ে চিন্তামুক্ত থাকতে মহান আল্লাহর কাছে সাহায্য চাইতেন। এটি হতে পারে উম্মতে মুহাম্মাদির জন্য বিশেষ আমল। নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম চিন্তা ও চাপমুক্ত থাকতে কী আমল করতেন এবং দোয়া পড়তেন?

নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যে কোনো চিন্তা বা চাপমুক্ত থাকতে আল্লাহর কাছে এভাবে বেশি বেশি সাহায্য চাইতেন-

اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنَ الْهَمِّ وَالْحَزَنِ، وَالْعَجْزِ وَ أَعُوذُ بِكَ مِنَ الْبُخْلِ وَالْجُبْنِ، وَ أَعُوذُ بِكَ مِنَ ضَلَعِ الدَّيْنِ، وَغَلَبَةِ الرِّجَالِ

উচ্চারণ : ‘আল্লাহুম্মা ইন্নি আউযু বিকা মিনাল হাম্মি ওয়াল হাযানি, ওয়া আউযু বিকা মিনাল বুখলি ওয়াল জুবনি, ওয়া আউযু বিকা মিন দ্বালা’য়িদ্দাইনি ওয়া গালাবাতির রিজাল।’ (বুখারি, মুসলিম, মিশকাত)

অর্থ : হে আল্লাহ! নিশ্চয়ই আমি দুশ্চিন্তা ও দুঃখ থেকে আপনার আশ্রয় চাই, অপারগতা ও অলসতা থেকে আপনার আশ্রয় চাই, কৃপনতা ও ভীরুতা থেকে আপনার আশ্রয় চাই আর ঋণের ভার ও মানুষদের দমন-পীড়ন থেকেও আপনার আশ্রয় চাই।

চিন্তামুক্ত থাকার আমল

যে কোনো মানসিক চাপ থেকে মুক্ত থাকতে নিয়মিত যে আমলগুলো করা জরুরি। তাহলো-

১. নিয়মিত কুরআন তেলাওয়াত

কুরআনুল কারিম তেলাওয়াত করা। কুরআন তেলাওয়াত মানুষের মনকে প্রফুল্ল করে তোলে। কুরআনের তেলাওয়াত ও অধ্যয়ন মানুষকে দুনিয়ার সব দুঃশ্চিন্তা ও হতাশামুক্ত রাখে।

২.নির্ধারিত সময়ে নামাজ পড়া

নামাজের নির্ধারিত সময়ে যথাযথভাবে নামাজ আদায় করায় হতাশা ও দুঃশ্চিন্তামুক্ত থাকে মন। আর নামাজের মাধ্যমেই বান্দা মহান আল্লাহর সাহায্য লাভে ধন্য হয়। কেননা নামাজ ও ধৈর্যের মাধ্যমে আল্লাহর সাহায্য পাওয়ার কথা এসেছে এভাবে-

’তোমরা নামাজ ও ধৈর্যের মাধ্যমে আমার সাহায্য প্রার্থনা কর। কিন্তু সে সমস্ত বিনয়ী লোকদের পক্ষেই তা সম্ভব।’ (সুরা বাকারা : আয়াত ৪৫)

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামও যে কোনো কঠিন সমস্যার সম্মুখীন হলে নামাজ আদায় করতেন।’ (আবু দাউদ) দুঃশ্চিন্তা বিপদ ও হতাশার সময় নামাজের আমলে অভ্যস্ত ছিলেন সাহাবায়ে কেরাম। ছোট থেকে ছোট যে কোনো বিষয়ের জন্যও তারা নামাজে দাঁড়িয়ে যেতেন।

৩ তাওবাহ-ইসতেগফার

যে কোনো বিষয়ে আল্লাহ সাহায্য পাওয়ার অন্যতম উপায় বেশি বেশি তাওবাহ-ইসতেগফার করা। কেননা মানুষকে প্রশান্তি দেওয়ার একচ্ছত্র ক্ষমতা মহান আল্লাহর। তার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করতে তিনি মানুষকে প্রশান্তি দেবেন। কুরআনের বর্ণনায় তা প্রমাণিত।

‘অতঃপর বলেছি- তোমরা তোমাদের পালনকর্তার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা কর। তিনি অত্যন্ত ক্ষমাশীল। তিনি তোমাদের উপর অজস্র বৃষ্টিধারা ছেড়ে দেবেন। তোমাদের ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্তুতি বাড়িয়ে দেবেন, তোমাদের জন্যে উদ্যান স্থাপন করবেন এবং তোমাদের জন্যে নদীনালা প্রবাহিত করবেন।’ (সুরা নুহ : আয়াত ১০-১২)

সম্পর্কিত পোস্ট

রোজা রেখে আতর-পারফিউম ব্যবহার করা যাবে?

banglarmukh official

গর্ভবতী নারীর রোজার মাসয়ালা

banglarmukh official

তারাবির নামাজ ছুটে গেলে করণীয়

banglarmukh official

রোজা অবস্থায় কি দাঁত ব্রাশ করা যাবে?

banglarmukh official

চাঁদ দেখা গেছে, সৌদি আরবে রোজা শুরু শনিবার

banglarmukh official

শাবান মাসে কত তারিখ পর্যন্ত রোজা রাখা যাবে

banglarmukh official