পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে বালিপাড়া ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতির শ্বাশুড়ির দোকান ভাংচুর করে খালে ফেলে দিয়েছে একই কমিটির যুবলীগ সাধারন সম্পাদক শেখ শামীম।
এ ঘটনায় খবর পেয়ে ইন্দুরকানী থানার ওসি মো. হাবিবুর রহমান বিকালে সরেজমিনে পরিদর্শণ করে অভিযুক্ত যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেন ভুক্তোভুগি পরিবারকে।
শুক্রবার দুপুর দুইটার দিকে উপজেলার চণ্ডিপুর হাটে এ ঘটনা ঘটলে স্থানীয় থানা পুলিশ সংবাদ পেয়ে শুক্রবার সন্ধ্যায় সরেজমিনে গেলে গৃহবধূ জাহানুর বেগম জানান, উপজেলার চন্ডিপুর হাটে কালাম বাগার কাছ থেকে ১৫ বছর পূর্বে এক খণ্ড জমি ক্রয়করে ওই জমিতে দোকানঘর নির্মান করেন। সেই জমির মালিকানা নিয়ে স্থানীয় ইদ্রিস খানের সাথে দীর্ঘ ৩ বছর ধরে দ্বন্ধ চলে আসছে জাহানুর বেগমের। এ নিয়ে বহুবার শালিশ বৈঠকও হয়েছে।
শুক্রবার দুপুরে তিনি বালিপাড়া ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারন সম্পাদক শেখ শামীমকে নিয়ে আসেন চন্ডিপুর হাটে। এরপর শামীম তার নেতৃত্বে তার দোকানের সাঁটার ভেঙ্গে পার্শ্ববর্তী খালে ফেলে দেয়। এসময় শামীম ও তার লোকজন দোকানের বিভিন্ন মুদি মনোহারি মালামাল নষ্ট করে ফেলে বলে অভিযোগ করেন জাহানুর বেগম। পরে বিষয়টি স্থানীয় থানা পুলিশকে জানালে ইন্দুরকানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিবুর রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করেন।
জাহানুর বেগম আরো জানান, স্থানীয় ইদ্রিস খানের কাছ থেকে প্রায় ৪৫ বছর আগে কালাম সেখ জমি ক্রয় করেন। পরে কালাম বাগার কাছ থেকে ১৫ বছর পূর্বে আমি ওই জমি ক্রয় করে সম্প্রতি একটি দোকান ঘর নির্মান করি। কিন্তু ইদ্রিস ভাড়াটিয়া লোকজন এনে আমার দোকানে ভাংচুর করে সাটার খুলে খালে ফেলে দিয়েছে বলে অভিযোগ করেন। এ ব্যাপারে তিনি আজ (শনিবার) বিকেলে থানায় মামলা করবেন বলে জানান।
অভিযুক্ত ইদ্রিস আলী খান এর কাছে এ ব্যাপারে জানতে চাইলে এ ঘটনার সাথে সম্পৃক্ততা অস্বীকার করে বলেন, বলেন ওই সম্পত্তি নিয়ে কোর্টে একটি মামলা দায়ের করেছি, মামলা বর্তমানে চলমান রয়েছে। আমি কারো সাথে ঝগড়া বিবাদ করতে রাজি না। আইনে যদি আমি পাই তবে আমি সম্পত্তি ভোগ দখল করবো। আর কে বা কারা এই ভাংচুরের ঘটনা ঘটিয়েছে তা আমি জানিনা।
বালিপাড়া ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মিজানুর রহমান জানান, শামীম লোকজনের কাছ থেকে টাকা পয়সার বিনিময়ে বিভিন্ন ব্যক্তির জমি, দোকানপাট দখল করিয়ে দিয়ে থাকে। এলাকায় তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজিসহ নানা অপকর্মের অভিযোগ রয়েছে।
যুবলীগ নেতা শামীম এ প্রতিবেদককে বলেন, আমার সংগঠনের সভাপতি মিজানের কাছে টাকা পাওনা আছে। এ নিয়ে ইউএনও অফিসে বসে কথার কাটকাটি হয়। অপর এক প্রশ্নে বলেন, আমি তার শ্বাশুরীর দোকান কেন ভাঙ্গতে যাব কেন, আমি ভাঙ্গলে ভাঙ্গবো তার দোকান। আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করতে এসব মিথ্যা অভিযোগ করছেন।
ইন্দুরকানী থানার ওসি মো. হাবিবুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে আমি গতকালই ঘটনাস্থলে পরিদর্শণ করেছি। ভেঙ্গেফেলা দোকানের সাটার ঠিক করার জন্য বলা হয়েছে। মামলা প্রক্রিয়াধীন।