প্রায় এক যুগ আগে দায়ের করা মাদক মামলায় নিউমার্কেট থানা ছাত্রলীগের সভাপতি প্রিন্স আবদুল খালেকসহ দুজনকে সাত বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪–এর বিচারক শেখ নাজমুল আলম গত সোমবার এ রায় দেন। দণ্ডপ্রাপ্ত অন্যজন হলেন ইফতেখার সুমন। রায় ঘোষণার পর তাঁদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ওই আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর ফারুক উজ্জামান ভূঁইয়া।
ঢাকা মহানগর উত্তর শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইব্রাহিম হোসেন জানিয়েছেন প্রিন্স আবদুল খালেক নিউমার্কেট থানা ছাত্রলীগের সভাপতি। তবে প্রিন্স আবদুল খালেক মাদক মামলায় দণ্ডিত হয়েছেন কি না, সেই তথ্য তাঁর জানা নেই। ইব্রাহীম হোসেন বলেছেন, ‘মাদক মামলায় সংগঠনের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা যদি সাজাপ্রাপ্ত হন তাহলে গঠনতন্ত্র অনুযায়ী তাঁকে পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হবে।’
জানতে চাইলে নিউমার্কেট থানা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইমরান হাসান বলেন, ‘অনেকের কাছে এ বিষয়টি শোনার পর তাঁর (প্রিন্স আবদুল খালেক) বাসায় যোগাযোগ করেছি। বাসা থেকে জানানো হয়েছে, সে ভারতে আছে। আমি এখনো বিষয়টি নিশ্চিত না। আপনারা বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখতে পারেন।’
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, গতকাল মঙ্গলবার প্রিন্স আবদুল খালেকের মা, বোন, বোনের জামাই, চাচা ও মামা কেরানীগঞ্জের কেন্দ্রীয় কারাগারে তাঁকে দেখতে গিয়েছেন। কিন্তু দেখা করতে পারেননি। কারণ হিসেবে কারা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, প্রিন্স আবদুল খালেককে সাত দিনের কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে।
মামলার কাগজপত্রের তথ্য বলছে, ২০১১ সালের ২৫ মে রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকা থেকে ২৫ বোতল ফেনসিডিলসহ প্রিন্স আবদুল খালেক ও ইফতেখার হোসেনকে গ্রেফতার করে র্যাব-২। এ ঘটনায় র্যাবের কর্মকর্তা আজিজুর রহমান বাদী হয়ে নিউমার্কেট থানায় মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত করে ওই বছরের ১৬ জুন দুজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশ। পরের বছর আদালত ২০১২ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি দুজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। এ মামলায় তাঁরা জামিনে ছিলেন। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে পাঁচজন সাক্ষীকে আদালতে হাজির করা হয়।