রাশিয়া বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে পড়েছে ব্রাজিল। গতকাল রাতে আসরে দুর্দান্ত ফর্মে থাকা বেলজিয়ামের কাছে ২-১ গোলে হেরে এবারের বিশ্বকাপকে বিদায় জানায় নেইমারের দল। তবে এই বিশ্বকাপে দুর্দান্ত নৈপুণ্য দেখিয়েছে ব্রাজিলের ডিফেন্স। যার কেন্দ্রে ছিলেন থিয়াগো সিলভা। অনেকেই তাকে দ্বিতীয় গোলরক্ষক হিসাবে মন্তব্য করেন।
রাশিয়া বিশ্বকাপে ম্যাচের ৯০ মিনিট পুরোটা মাঠ দাপিয়ে বেড়িয়েছেন সিলভা। প্রতিপক্ষের আক্রমণকে শক্ত হাতে দমন করেছেন তিনি। অথচ এই সিলভাই রাশিয়ায় মরতে বসেছিলেন ফুসফুসে ছিদ্রের কারণে!
ঘটনাটা ২০০৫ সালের। ২০ বছর বয়সে রাশিয়ায় ডায়নামো মস্কোতে ধারে খেলতে গিয়েছিলেন সিলভা। সেখানেই ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডারের যক্ষ্ণা ধরা পড়ে। পরের ছয় মাস ফুটবল থেকে একেবারেই বাইরে চলে গিয়েছিলেন, ক্ষয়রোগের সঙ্গেই চলছিল তার যুদ্ধটা।
সেই সময় ডায়নামো মস্কোর কোচ ছিলেন ইভো ওর্টমান। তিনিই জানালেন, ওই সময়টায় মৃত্যুর কতটা কাছে চলে গিয়েছিলেন সিলভা।
‘ব্যাচেলর রিপোর্টে’র সঙ্গে এক সাক্ষাতকারে ওর্টমান বলেন, ‘আমি তাকে দেখে একদম ভেঙে পড়েছিলাম। একদিন ডাক্তার আমাকে বলল, থিয়াগোর ফুসফুসে একটি ছিদ্র আছে এবং তাকে অস্ত্রোপচার করাতে হবে। এতে মৃত্যুর ঝুঁকিও আছে।’
পাশাপাশি ডাক্তার সতর্ক করে বলেছিলেন, বেঁচে গেলেও পরবর্তীতে সিলভা আর ফুটবল খেলতে পারবেন না।ওর্টমান বলছিলেন, ‘তারা আমাকে সতর্ক করে বলেছিল, তার (সিলভা) আর ট্রেনিংয়ে ফেরার আশা নেই। সম্ভবত তার ক্যারিয়ার শেষ। ফুসফুসের একটা অংশ ছাড়া সে কিভাবে দৌঁড়াবে?’
তবে সেই ঘটনার শেষটা মোটেও এমন ছিল না। একটা সময় আশ্চর্যজনকভাবে পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠেন ব্রাজিলের এই ডিফেন্ডার। পরে স্বদেশি ক্লাব ফ্লুমিনেন্সের হয়ে ক্যারিয়ারও শুরু করেন।