এপ্রিল ২০, ২০২৫
Bangla Online News Banglarmukh24.com
জাতীয় ঢাকা প্রচ্ছদ বরিশাল রাজণীতি রাজশাহী

রাজশাহী-বরিশালে নতুন নির্বাচন দিতে হবে: ফখরুল

রাজশাহী ও বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ফল প্রত্যাখ্যান করে সেখানে পুনরায় নির্বাচনের দাবি জানিয়েছে বিএনপি। তিন মহানগরে ‘ভোট ডাকাতি’র প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার দেশব্যাপী বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি।
মঙ্গলবার রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, আমরা রাজশাহী ও বরিশালের ভোটের ফলাফল ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করছি। কারণ, এটা কোনো নির্বাচনই হয়নি। ভোট চুরি নয়, ডাকাতি হয়েছে। রাজশাহী ও বরিশালের সিটি নির্বাচনে সীমাহীন কারচুপি হয়েছে।
সেখানে পুনরায় নির্বাচনের দাবি জানাচ্ছি। সিলেট সিটি নির্বাচন সুষ্ঠু হলে আমাদের দলের মেয়র প্রার্থী আরিফুল হক লক্ষাধিক ভোটে জয়লাভ করতেন।একইভাবে বরিশাল এবং রাজশাহীতে সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন হলে আমাদের দলের প্রার্থীরা লক্ষাধিক ভোটে জয়লাভ করতেন।
ফখরুল বলেন, রাজশাহী, বরিশাল ও সিলেট এই ৩টি সিটি কর্পোরেশনের মেয়র নির্বাচনের নাটক শেষ হয়েছে। এই নির্বাচনে আমাদের কথাই সত্য প্রমাণিত হলো-শেখ হাসিনার সরকারের অধীনে কোন নির্বাচনই সুষ্ঠু ও অবাধ হতে পারে না। প্রমাণিত হলো এই অযোগ্য নির্বাচন কমিশিনের পরিচালনায় কোন নির্বাচনেই জনগণের রায়ের প্রতিফলন ঘটানো সম্ভব নয়। গাজীপুর ও খুলনার মতো এই তিনটি সিটি কর্পোরেশনে ভোট চুরি বা কারচুপি নয়, ভোট ডাকাতির মহোৎসব অনুষ্ঠিত হলো। বিরোধী দলগুলোর প্রতিপক্ষ আওয়ামী লীগ নয়, প্রতিপক্ষ এই সরকারের প্রশাসন এবং অযোগ্য নির্বাচন কমিশন। এই নির্বাচন কমিশন পুলিশের মতোই আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের জয়ী করার জন্য নির্বাচনকে প্রহসনে পরিণত করেছে। শুধু নির্বাচনের দিনে নয়, সিডিউল ঘোষণার দিন থেকেই পুলিশের বিশেষ স্কোয়াড মাঠে নেমেছে। মিথ্যা মামলা, গ্রেফতার, হয়রানী, হুমকি ও ভয় দেখিয়ে বিরোধী দলের কর্মীদের নির্বাচনী প্রচারণা থেকে দুরে রাখা, নির্বাচন কমিশনের নিজস্ব আইন ভঙ্গ, শত শত অভিযোগে কোনও কর্ণপাত না করে আওয়ামী লীগের এজেন্ডা বাস্তবায়ন গোটা নির্বাচন ব্যবস্থাকে আবারও ধ্বংস করল।
মির্জা ফখরুল বলেন, এই নির্বাচন কমিশন গঠনের পর থেকেই আমরা বলে এসেছি- এই কমিশন আওয়ামী লীগের প্রতি পক্ষপাত দুষ্ট এবং অযোগ্য। তারা আচরণ বিধি ভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়নি। পুলিশের নির্যাতন বন্ধ করতে উচ্চ আদালতের নির্দেশ মানতে পুলিশকে বাধ্য করতে পারেনি। বরিশালে কয়েকদিন আগে থেকেই বাইরে থেকে হাজার হাজার আওয়ামী কর্মী জড়ো করা হয়েছিল- কেন্দ্রগুলো থেকে বিএনপি‘র এজেন্টদেরকে বের করে দিয়েছে।
মির্জা ফখরুল বলেন, সরকার গণতন্ত্রকে সম্পূর্ণরুপে ধ্বংস করছে। জনগণের ভোটের অধিকার হরণ করছে। লক্ষ্য একটি-একদলীয় শাসন ব্যবস্থা ভিন্নরুপে প্রতিষ্ঠা করে চিরদিন ক্ষমতায় থাকা। আওয়ামী লীগ এখন একটি গণবিচ্ছিন্ন দলে পরিণত হয়েছে। সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ নির্বাচনে তারা জয়ী হতে পারবে না বলেই রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে ভোট ডাকাতি করে তারা জাতীয় সংসদের নির্বাাচন করতে চায়। ২০১৪ সালের মতোই একতরফা নির্বাচন করার নীল নক্শা করছে। জনগণ তাদের সেই স্বপ্ন বাস্তবায়িত হতে দিবে না। দেশে নির্বাচনের পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে হলে প্রথমেই বেগম খালেদা জিয়াসহ বিরোধী দলীয় সকল বন্দীদের মুক্তি দিতে হবে। সকল মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। নির্বাচনকালীন সময়ে সরকারকে পদত্যাগ করে নিরপেক্ষ সরকার গঠন  করতে হবে। বর্তমান নির্বাচন কমিশনকে পূর্ণস্বাধীন করতে হবে। বর্তমান জাতীয় সংসদ ভেঙ্গে দিতে হবে। সরকারকে আহবান জানাবো কালবিলম্ব না করে অবিলম্বে উপরোক্ত দাবিগুলো মেনে নিয়ে নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে। এই তামাশা ও ভোট ডাকাতির নির্বাচনকে আমরা ঘৃণাভরে প্রত্যাখান করছি এবং অবিলম্বে এই ফলাফল বাতিল করে নতুন নির্বাচন প্রদানের আহবান জানাচ্ছি। তিন সিটি নির্বাচনে ব্যাপক অনিয়ম, অনাচার, ভোট জালিয়াতি ও ভোট সন্ত্রাসের প্রতিবাদে বিএনপি’র উদ্যোগে আগামীকাল বৃহস্পতিবার সারাদেশে জেলা ও মহানগরে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালিত হবে।
‘সিলেটে কারচুপির পরও কীভাবে বিএনপির প্রার্থী জিতলেন’-এমন প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, কারচুপি না হলে সিলেটে ‘লক্ষাধিক ভোটে বিএনপি জয়লাভ করত’। আমাদের প্রার্থীরা এসব অনিয়মের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছেন। রাজশাহীতে বুলবুল ভোট পর্যন্ত দিতে পারে নাই, ভোট না তিনি এই অনিয়মের বিরুদ্ধে ভোট কেন্দ্রে বসে প্রতিবাদ করেছেন।
সিলেটে কারচুপির পরও কীভাবে বিএনপির প্রার্থী জিতল-এমন প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, কারচুপি না হলে সিলেটে ‘লক্ষাধিক ভোটে বিএনপি জয়লাভ করত’।ফখরুল বলেন, সোমবার সারাদিন তিন সিটিতে ভোট কিভাবে করেছে ক্ষমতাসীনরা তা আপনারা দেখেছেন। আমাদের প্রার্থীরা এসব অনিয়মের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে। রাজশাহীতে বুলবুল ভোট পর্যন্ত দিতে পারে নাই, ভোট না তিনি এই অনিয়মের বিরুদ্ধে ভোট কেন্দ্রে বসে প্রতিবাদ করেছে। এ বারের তিন সিটির নির্বাচন খুলনা-গাজীপুর মডেলের ভিন্ন রূপ, তবে এটি ভয়ংকর রূপ। মির্জা ফখরূল জাতীয় নির্বাচনে ভোট গ্রহণে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন বা ইভিএম ব্যবহার না করার দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

সম্পর্কিত পোস্ট

তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গ্রাম পুলিশের বসত ঘরে ভাংচুর

banglarmukh official

এসএসসি পরীক্ষার্থীদের শিক্ষা উপকরণ উপহার দিলো ছাত্রদল

banglarmukh official

আইন-বিধি মেনে কাজের গতি বাড়ানোর তাগিদ

banglarmukh official

আছিয়া ধর্ষণ ও হত্যার বিচার ৭ দিনের মধ্যে শুরু হবে: আইন উপদেষ্টা

banglarmukh official

শুক্রবার কক্সবাজার যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা ও জাতিসংঘ মহাসচিব

banglarmukh official

শিশু আছিয়ার মৃত্যুতে প্রধান উপদেষ্টার শোক, দ্রুত বিচার নিশ্চিতের নির্দেশ

banglarmukh official