লাইসেন্সধারী সব কোম্পানির পাস্তুরিত দুধ পরীক্ষা করতে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশনকে (বিএসটিআই) নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। আগামী ৭ দিনের মধ্যে এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। রোববার এ সংক্রান্ত রিট শুনানি শেষে বিচারপতি সৈয়দ রিফাত আহমেদ ও বিচারপতি ইকবাল কবিরের হাইকোর্ট বেঞ্চ বিষয়ে এক রিট শুনানিকালে এ আদেশ দেন।
আদালতে বিএসটিআইয়ের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন- এম আর হাসান মামুন। রিটের পক্ষে শুনানি অনীক আর হক এদিকে সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োমেডিক্যাল রিসার্চ ইনস্টিটিউট দুধের ১০ ধরনের নমুনার ওপর দুই দফা পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালিয়েছে। দুধের সবগুলো নমুনাতেই অ্যান্টিবায়োটিকের উপস্থিতি মেলে।
এছাড়া পাস্তুরিত দুধ নিয়ে ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর ডায়রিয়াল ডিজিস রিসার্চ, বাংলাদেশের (আইসিডিডিআরবি) গবেষণা প্রতিবেদন বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়।
ওই প্রতিবেদনে দুধে ভেজাল ধরা পড়ায় রিট আবেদন করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী তানভীর আহমেদ। এই রিট আবেদনে গত বছরের ২১ মে বিশেষজ্ঞ ও গবেষকদের নিয়ে কমিটি করে বাজারে থাকা পাস্তুরিত দুধ পরীক্ষা করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। খাদ্য ও স্বাস্থ্য সচিব এবং বিএসটিআইয়ের মহাপরিচালককে দেওয়া এই নির্দেশের পর গত ২৫ জুন বিএসটিআইয়ের আইনজীবী ব্যারিস্টার সরকার এম আর হাসান আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন।
বিএসটিআই-এর পক্ষ থেকে বলা হয়, চৌদ্দটি কোম্পানির পাস্তরিত দুধে আশঙ্কাজনক বা ক্ষতিকর কোনো কিছুই পাওয়া যায়নি। কিন্তু একইদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি অনুষদ ও বায়োমেডিক্যাল রিসার্চ সেন্টার এক সংবাদ সম্মেলন করে দাবি করে যে, পাস্তুরিত দুধের ৭টি নমুনার কোনোটিতেই কাঙ্ক্ষিত মাত্রার ‘সলিড নট ফ্যাট’ পাওয়া যায়নি। বিএসটিআই স্ট্যান্ডার্ড অনুযায়ী দুধে ‘ফ্যাট ইন মিল্ক’ ৩ দশমিক ৫ শতাংশ থাকার কথা থাকলেও এগুলোতে আছে ৩ দশমিক ৬ থেকে ৩ দশমিক ৬১ শতাংশ। এসব দুধে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টিবায়োটিক রয়েছে, যা শরীরের জন্য ক্ষতিকর।