30 C
Dhaka
এপ্রিল ১৯, ২০২৫
Bangla Online News Banglarmukh24.com
অপরাধ আদালতপাড়া জেলার সংবাদ

স্ত্রী-সন্তানদের খুনের রোমহর্ষক বর্ণনা দিলেন আসামি

প্রথমে স্ত্রী ও বড় মেয়ের গলা টিপে ধরেন। ধস্তাধস্তি দেখে ছোট মেয়েটি চিৎকার শুরু করে। পরে গামছা দিয়ে ছোট মেয়েকে শ্বাসরোধ করে হত্যা। হত্যাকাণ্ডের কারণ পারিবারিক কলহ।

স্ত্রী ও দুই মেয়েকে শ্বাসরোধে হত্যার কথা স্বীকার করে আদালতে এ জবানবন্দি দিয়েছেন হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত আসামি জহিরুল ইসলাম বাবু।

শনিবার (১৭ জুলাই) বিকেলে যশোর জেলা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শম্পা বসু আসামির জবানবন্দি গ্রহণ করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।

হত্যার শিকার তিনজন হলেন, বাবুর স্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন বীথি, বড় মেয়ে সুমাইয়া খাতুন ও ছোট মেয়ে সাফিয়া খাতুন। বাবু যশোর সদর উপজেলার জগন্নাথপুর গ্রামের বিশ্বাসপাড়ার মশিউর রহমান বিশ্বাসের ছেলে।

গত শুক্রবার দিনগত মধ্যরাতে নিহত বীথির বাবা শেখ মুজিবর রহমান বাদী হয়ে জহুরুল ইসলাম বাবুর বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন।

শনিবার দুপুরে যশোর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে তিনজনের ময়নাতদন্ত শেষে সন্ধ্যায় অভয়নগর উপজেলায় নিহত সাবিনার বাবার বাড়ি সিদ্দিপাশাতে তিনজনের জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।

জহিরুল ইসলাম বাবু জবানবন্দিতে আরও জানিয়েছেন, পেশায় তিনি একজন রড মিস্ত্রী ও মাদকাসক্ত। অভয়নগরের সিদ্দিপাশা গ্রামের শেখ মুজিবর রহমানের মেয়ে সাবিনা ইয়াসমিন বিথীকে বিয়ে করার পর থেকে তাদের মধ্যে পারিবারিক ও দাম্পত্য কলহ চলছিল। বিথী বাবার বাড়িতে থাকতে পছন্দ করতেন। আড়াই মাস আগে দুই মেয়েকে নিয়ে তিনি সেখানে চলে যায়। অনিচ্ছা সত্ত্বেও জহিরুলকে মাঝেমধ্যে শ্বশুর বাড়ি গিয়ে থাকতে হতো। এ নিয়ে সংসারে চরম অশান্তি চলছিল।

শুক্রবার দুপুরে স্ত্রী ও দুই মেয়েকে নিয়ে শ্বশুর বাড়ি থেকে নিজ বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হয়। পথে বিথীর সঙ্গে জহিরুলের পারিবারিক বিষয় নিয়ে বাকবিতণ্ডা হয়। এরমধ্যে স্ত্রী ও বড় মেয়ের গলা চেপে ধরলে ছোট মেয়ে চিৎকার করছিল। এরপর তিনজনের গলায় গামছা পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে বলে জবানবন্দিতে জানিয়েছেন জহিরুল ইসলাম।

মামলার অভিযোগে জানা গেছে, শুক্রবার দুপুরে স্ত্রী ও দুই মেয়েকে নিয়ে শ্বশুরবাড়ি থেকে বাড়ির উদ্দেশ্যে আসার পথে চাপাতলা গ্রামে আব্দুস সবুরের বাড়ির পেছনে কলাবাগান ও ঘাসের জমিতে নিয়ে স্ত্রী-সন্তানদের শ্বাসরোধে হত্যা করেন বাবু। মরদেহ তিনটি সেখানে ফেলে বাড়িতে এসে পরিবারের লোকজনকে ঘটনা জানান বাবু। এসময় তার বড়ভাই মঞ্জুরুল ইসলাম বসুন্দিয়া পুলিশ ক্যাম্পে খবর দেন। খবর পেয়ে পুলিশ বাড়িতে গেলে বাবু পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেন। এ ঘটনায় নিহত বিথীর পিতা শেখ মুজিবর রহমান বাদী হয়ে অভয়নগর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।

এ বিষয়ে অভয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম শামীম হাসান বলেন, আটক জহুরুল আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে নৃশংস হত্যার বর্ণনা দিয়েছেন। তিনি স্ত্রী ও দুই মেয়েকে হত্যা করেছেন বলে স্বীকার করেছেন।

সম্পর্কিত পোস্ট

মাগুরায় ধর্ষণের শিকার সেই শিশু মারা গেছে

banglarmukh official

শিশু আছিয়ার জানাজায় অংশ নিতে মাগুরায় মামুনুল-হাসনাত-সারজিস

banglarmukh official

অটোরিকশায় ছাত্রীর সঙ্গে অশোভন আচরণ, ভিডিও ভাইরাল

banglarmukh official

এমবিবিএস-বিডিএস ডিগ্রি ছাড়া কেউ নামের আগে ডাক্তার লিখতে পারবে না

banglarmukh official

বগুড়ায় স্কুলছাত্রকে শ্বাসরোধ করে হত্যা

banglarmukh official

মাগুরায় ধর্ষণের শিকার শিশুটির সব ছবি অপসারণের নির্দেশ হাইকোর্টের

banglarmukh official