আমার পরিবার, আত্মীয় স্বজন, বন্ধু বান্ধব, সহকর্মী, শুভাকাংখী, শত্রু মিত্র সকলের উদ্দেশ্যে একজন পুলিশ কর্মকর্তা-পিতা-নাগরিক হিসাবে কিছু অনুভুতি ব্যক্ত করছি।
অতি সম্প্রতি “তথা কথিত” কিছু পত্রিকা যেমন মানবজমিন, ইনকিলাব ও ভুঁইফোড় অনলাইন পত্রিকায় বরিশালের পুলিশ কমিশনারের মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে একজন আওয়ামী লীগ নেতা পিটিয়েছেন বলে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। সাংবাদিকরা আবার মফস্বলীয় ঘরনার আদম সন্তান যারা নিজেদের খুব জ্ঞানী আর ক্ষমতাবান ভাবেন।
ভাষা আর শিক্ষা দীক্ষায় তারা আবার বরিশালের আঞ্চলিকতার একনিষ্ঠ অনুরাগী-জোর করেও তাদেরকে দিয়ে শুদ্ধ বাংলা ভাষা বলানো যায় না। এর মধ্যে আবার যুগান্তর নামক পত্রিকার মাননীয় মফস্বলীয় সাংবাদিক ভাইও বিরাট মওকা পেয়ে কঠিন মার-মার কাট-কাট রির্পোট করে রীতিমত কোন আন্তর্জাতিক খেতাব অর্জনের খোয়াব দেখছেন!!
বাংলাদেশের এই শ্রেনীর সম্মানিত সাংবাদিক ভাইয়েরা সাংবাদিকতার মত মহান পেশাকে আরো মহিমান্বিত করে যাচ্ছেন-আপনাদেরকে সাধুবাদ জানাচ্ছি!
আপনাদের সম্পাদকদের কাছে নিচের প্রতিবাদটি পাঠানো হয়েছে। ছাপানো হবে না হয়তো। তাই ফেসবুকই ভরসা।
দীর্ঘ বিশ বৎসর মাঠে ময়দানে আর পুলিশ হেডকোর্য়াটার্সে বহু চড়াই উৎরাই অতিক্রম করে সৎ-কর্মঠ-প্রতিবাদী-ধার্মিক-অসাম্প্রদায়িক পুলিশ কর্মকর্তা হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছি। কতিপয় পদলেহনকারী আর অসৎ-ধান্ধাবাজ সহকর্মীদের শত ষড়যন্ত্রের জাল ছিন্ন করে আজকের অবস্থানে এসেছি। শুধুমাত্র মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায়।
কতিপয় ভুঁইফোড় সাংবাদিকের হলুদ সাংবাদিকতার কাছে হার মানার লোক আমি নই। কোন রাজনৈতিক নেতার বুকে অতো বড় কলিজা নেই যে আমার মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে মারধোর করবে। আমার জীবনের প্রতিটি কাজ আমি আল্লাহকে সন্তুষ্ঠ করার জন্যেই করে থাকি এবং আমৃত্যু করে যাবো-ইনশাআল্লাহ।
যে ঘটনা সুন্দরবন ১১ লঞ্চে ঘটেছে তা অনাকাংখিত-পত্রিকার অতিরঞ্জনের ফলে আমি, আমার সহকর্মীগন বিব্রত, আহত তবে একই সাথে সংযত। দুষ্কৃতিকারীরা যতই ক্ষমতাবান হোন না কেন আপনাদের কৃতকর্মের জন্য আইনের আওতায় আপনাদের আনা হবে ইনশাআল্লাহ।
আর ছিঁচকে মফস্বলীয় কতিপয় মেরুদন্ডহীন সাংবাকিকদের বলছি-হলুদ সাংবাদিকতার জন্যে আইনের আশ্রয় নেয়ার অধিকার সকল নাগরিকের মত একজন পুলিশ কর্মকর্তারও রয়েছে-জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমানের এই সোনার বাংলায়!
দেখা হতে পারে আদালতে ইহকাল বা পরকালে। সত্য প্রতিষ্ঠায় পোস্টটি শেয়ার করে কৃতজ্ঞ করবেন-ধন্যবাদ।