এপ্রিল ২৬, ২০২৫
Bangla Online News Banglarmukh24.com
অপরাধ জেলার সংবাদ নারী ও শিশু

অপারেশন করলেন নার্স, ওটিতেই রোগীর মৃত্যু

অনলাইন ডেস্ক :

দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলায় অনুমোদনহীন একটি বেসরকারি হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ডাক্তার সেজে অপারেশন করতে গিয়ে রেশমা খাতুন বিজলী (৩৬) নামে এক রোগীকে মেরে ফেলেছেন এক নার্স।

এ ঘটনায় রোগীর চাচা বাদী হয়ে বিরামপুর থানায় মামলা করেছেন। মামলার প্রেক্ষিতে ওই হাসপাতালের নার্স অপারেশনকারী ভুয়া চিকিৎসক ফারজানা ইয়াসমিন জলিকে (৩৫) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। একই সঙ্গে হাসপাতালটি সিলগালা করে দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।

গত বুধবার রাতে বিরামপুর শহরের আনাসা হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে এ ঘটনা ঘটে। নিহত রেশমা খাতুন বিজলী বিরামপুর শহরের বিছকিনি গ্রামের আবু তালেবের স্ত্রী। রোগীর মৃত্যুর ঘটনায় করা মামলায় চারজনকে আসামি করা হয়েছে।

মামলার বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, রেশমা খাতুন বিজলী জরায়ুর সমস্যায় ভুগছিলেন। বুধবার রাতে রেশমার স্বামী তাকে ওই হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরে নার্সের চিকিৎসায় অপারেশন থিয়েটারে রেশমার মৃত্যু হয়

মামলার বাদী নিহত রেশমা খাতুন বিজলীর চাচা রমজান আলী বলেন, বিরামপুর শহরের আনাসা হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের নার্স ও ম্যানেজার ফারজানা ইয়াসমিন জলি নিজেকে চিকিৎসক পরিচয় দিয়ে কোনো পরীক্ষা ছাড়াই রেশমার জরায়ুর অপারেশন করেন। ওই সময় অপারেশন থিয়েটারে কি হয়েছিল তা আমরা জানি না। রাত ৯টার দিকে নার্স ফারজানা ইয়াসমিন জলি জানান, অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে রেশমা খাতুনের মৃত্যু হয়েছে।

রমজান আলী আরও বলেন, এরপর খোঁজ নিয়ে আমরা জানতে পারি ফারজানা ইয়াসমিন জলি চিকিৎসক নন, তিনি হাসপাতালের নার্স এবং ম্যানেজার। বিষয়টি নিয়ে হাসপাতালের স্টাফদের সঙ্গে আমাদের বাগবিতণ্ডা হলে স্থানীয়রা এগিয়ে আসেন। সেই সঙ্গে হাসপাতাল ঘেরাও করেন স্থানীয়রা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে পুলিশ। রোগীর মৃত্যুর ঘটনায় ওই দিন রাতেই চিকিৎসক সেজে অপারেশন করা ফারজানা ইয়াসমিন জলিসহ চারজনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত মু-তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করি আমি

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বিরামপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান বলেন, রোগীর মৃত্যুর ঘটনায় করা মামলার প্রধান আসামি ফারজানা ইয়াসমিন জলিকে গ্রেফতার করে কোর্টে চালান দেয়া হয়েছে। নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

এ বিষয়ে বিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তৌহিদুর রহমান বলেন, হাসপাতালে রোগীর মৃত্যুর খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যাই। কাগজপত্র দেখাতে না পারায় ওই হাসপাতালটি সিলগালা করে দেয়া হয়েছে।

সম্পর্কিত পোস্ট

মাগুরায় ধর্ষণের শিকার সেই শিশু মারা গেছে

banglarmukh official

শিশু আছিয়ার জানাজায় অংশ নিতে মাগুরায় মামুনুল-হাসনাত-সারজিস

banglarmukh official

অটোরিকশায় ছাত্রীর সঙ্গে অশোভন আচরণ, ভিডিও ভাইরাল

banglarmukh official

বগুড়ায় স্কুলছাত্রকে শ্বাসরোধ করে হত্যা

banglarmukh official

মাগুরায় শিশু ধর্ষণ: ১৮০ দিনের মধ্যে বিচার শেষ করার নির্দেশ হাইকোর্টের

banglarmukh official

বোনের বাড়ি বেড়াতে এসে ধর্ষণের শিকার শিশু, ভগ্নিপতি ও শ্বশুর আটক

banglarmukh official