এক সময় জিম্বাবুয়েকে ধরা হতো ক্রিকেটকের অন্যতম পরামশক্তি। অ্যান্ডি ফ্লাওয়ার, গ্র্যান্ট ফ্লাওয়ার কিংবা হিথ স্ট্রিকদের সময়কে বিবেচনা করে এমন তকমা দেওয়াটা অত্যুক্তি হবে না; কিন্তু সেই দেশটির ক্রিকেটই কিনা রাজনীতির নোংরা হস্তক্ষেপে হারিয়ে যেতে থাকলো। এমন এক অবস্থায় এসে জিম্বাবুইয়ানরা উপনীত হয়েছে যে, ক্রিকেটের উঠতি কিংবা উদীয়মান শক্তিগুলোও তাদেরকে এখন বলে-কয়ে হারাতে পারে।
সেই জিম্বাবুয়ে ২০১৬ সালের পর থেকে বিশ্বকাপে অনুপস্থিত। ২০১৯ ওয়ানডে বিশ্বকাপ গেলো, ২০২১ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ গেলো- কোথাও নেই জিম্বাবুয়ে। কারণ, তারা বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতাই অর্জন করে না।
অবশেষে ২০২২ অস্ট্রেলিয়া বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করতে পারলো জিম্বাবুইয়নরা। তাদের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়া বিশ্বকাপের শেষ দল হিসেবে টিকিট কেটে নিলো ইউরোপের দেশ নেদারল্যান্ডস।
নিজেদের দেশে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপ কোয়ালিফাইং রাউন্ডের সেমিফাইনালে পাপুয়া নিউগিনিকে হারিয়ে অস্ট্রেলিয়ায় যাওয়ার টিকিট পেলো জিম্বাবুয়ে। আর নেদারল্যান্ডস হারিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে।
আয়োজক হিসেবে বিশ্বকাপ খেলবে অস্ট্রেলিয়া। এছাড়া এরই মধ্যে বাংলাদেশ, আফগানিস্তান, ইংল্যান্ড, ভারত, নামিবিয়া, নিউজিল্যান্ড, পাকিস্তান, স্কটল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা, শ্রীলঙ্কা ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ গত আসরের ফলাফলের ভিত্তিতে সরাসরি বিশ্বকাপ খেলবে।
এবার গ্লোবাল কোয়ালিফায়ার ‘বি’ থেকে নেদারল্যান্ডস ও জিম্বাবুয়ে বিশ্বকাপের টিকিট নিশ্চিত করেছে। শুক্রবার কোয়ালিফায়ারের প্রথম সেমিফাইনালে জিম্বাবুয়ে ২৭ রানে পরাজিত করে পাপুয়া নিউগিনিকে। দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে নেদারল্যান্ডস ৭ উইকেটে হারিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এ নিয়ে ৬ষ্ঠবার খেলবে জিম্বাবুয়ে এবং নেদারল্যান্ডস খেলবে ৫ম বার।
বুলাওয়েতে অনুষ্ঠিত ম্যাচে পাপুয়া নিউগিনির বিপক্ষে প্রথমে ব্যাট করে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৯৯ রানের বড় সংগ্রহ করেছিল জিম্বাবুয়ে। মাদভিরে ৪২, ক্রেইগ আরভিন ৩৮, চাকাভা ৩০ রান করেন। পাপুয়া নিউগিনির হয়ে আমিনি ২৮ রানে ২টি, বাউ ৩২ রানে নেন ২টি উইকেট।
জবাব দিতে নেমে ৮ উইকেটে ১৭২ রান করে পাপুয়া নিউগিনি। উরা করেন সর্বোচ্চ ৬৬ রান। আমিনি করেন ৩১ রান। মুজরাবানি ২৪ রানে নেন ২ উইকেট।
অন্যম্যাচে প্রথমে ব্যাট করতে নামা যুক্তরাষ্ট্রকে ১৩৮ রানে অলআউট করে দেয় নেদারল্যান্ডস। যুক্তরাষ্ট্রের হয়ে মোনানক প্যাটেল করেন ৩২ রান। ফন মিকেরিন এবং ডি লিডি নেন ২টি করে উইকেট। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৩ উইকেট হারিয়ে ১৩৯ রান করে নেদারল্যান্ডস। ডি লিডি করেন অপরাজিত ৯১ রান। ডাচদের জয় ৭ উইকেটের ব্যবধানে।