রাজশাহী, সিলেট, বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ৩৯৫টি কেন্দ্রের মধ্যে ১৮টির ভোট বা ফল অনিয়ম ও গোলযোগের কারণে স্থগিত করতে হলেও ‘বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া শান্তিপূর্ণ’ ভোট হওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা। গতকাল সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত তিন সিটি করপোরেশনে ভোট গ্রহণের পর সন্ধ্যায় ঢাকায় এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘হ্যাঁ, আই এম স্যাটিসফায়েড।’ তিনি জানান, অনিয়ম ও গোলযোগের কারণে বরিশালের একটি ও সিলেটের দুটি কেন্দ্রের ভোট স্থগিত করা হয়েছে। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বরিশালে ১৫টি কেন্দ্রের ফলাফল স্থগিত করা হয়েছে। রাজশাহীতে কোনো কেন্দ্র স্থগিত হয়নি। রাজশাহীতে ১৩৮টি কেন্দ্রে শান্তিপূর্ণ ভোট হয়েছে। সিলেটে ১৩৪টির মধ্যে দুটি ছাড়া বাকিগুলোয় শান্তিপূর্ণ ভোট হয়েছে। বরিশালে ১২৩টির মধ্যে সকালে কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটেছে। ইসি তত্ক্ষণাৎ ব্যবস্থা নিয়েছে। বরিশালে ভোট বর্জন ও নির্বাচন বাতিলের যে দাবি প্রার্থীরা জানিয়েছেন সে বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে নূরুল হুদা বলেন, বরিশালে যেসব অনিয়ম হয়েছে তা প্রত্যাশা করিনি। তা খতিয়ে দেখব। তবে পুনরায় ভোট নেওয়ার অবস্থা হয়নি সেখানে। বাসদের প্রার্থীর ওপর ক্ষমতাসীন দলের কর্মীদের হামলার অভিযোগও তদন্ত করার আশ্বাস দেন সিইসি। রাজশাহীতে বিএনপির মেয়র প্রার্থীর ভোট না দেওয়ার বিষয় ‘তার ব্যাপার’ বলে মন্তব্য করেন সিইসি নূরুল হুদা। উল্লেখ্য, বছর শেষে সংসদ নির্বাচনের আগে এই তিন সিটি করপোরেশন নির্বাচন ছিল কার্যত নৌকা ও ধানের শীষের শেষ লড়াই। দলীয় প্রতীকে স্থানীয় এই নির্বাচন ঘিরে বড় কোনো সহিংসতা না ঘটলেও পাল্টাপাল্টি বক্তব্যে উত্তাপ ছড়ায়; তৈরি হয় জাতীয় নির্বাচনের আবহ।