দুজনের অভিষেক প্রায় দুই সময়ে। বাবর আজমের ক্যারিয়ার শুরুর আগেই বিশ্ব ক্রিকেটের অন্যতম সেরা ব্যাটার বিরাট কোহলি। শুধু ওয়ানডেতেই যেখানে ১২ হাজারের বেশি রান রয়েছে কোহলির। সেখানে তিন ফরম্যাট মিলেও দশ হাজার রান হয়নি বাবরের।
তবু দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দেশের সেরা ব্যাটার হওয়ায় বাবর ও কোহলির মধ্যে তুলনা চলছে গত কয়েক বছর ধরে। বিশেষ করে ২০১৯ সালের নভেম্বরের পর থেকে কোহলির সেঞ্চুরিখরা থাকায়, অনেকেই বাবরকে কোহলির চেয়ে এগিয়ে রাখছেন। সাম্প্রতিক সময়ের হিসেবে তারা খুব একটা ভুল নন।
কোহলির সেঞ্চুরিখরা শুরুর সময় থেকে এখন পর্যন্ত তিন ফরম্যাটে ১১ সেঞ্চুরি ও ২৮ ফিফটিতে প্রায় চার হাজার রান করেছেন বাবর। অন্যদিকে প্রায় তিন বছর ধরে সেঞ্চুরি না পাওয়া কোহলি ২৪ হাফসেঞ্চুরিতে করেছেন মোটে ২৫৩৭ রান। এসময় বাবর খেলেছেন ৭৭ ইনিংস, কোহলি ৭৮টি।
তাই স্বাভাবিকভাবেই সাম্প্রতিক সময়ের হিসেবে এগিয়ে রাখা হয় বাবরকে। তবে এতে খুব একটা সায় নেই পাকিস্তানের বাঁহাতি ওপেনার ইমাম উল হকের। তাই বলে যে, কোহলির পক্ষে কথা বলছেন ইমাম, তাও নয়। ইমামের ইচ্ছা, ক্যারিয়ার শেষে যেন কোহলির অনেক রেকর্ড ভেঙে দেন বাবর।
ইমাম বলেছেন, ‘বিরাট কোহলি একজন কিংবদন্তি, এতে কোনো সন্দেহ নেই। একজন যদি ২৪০ ম্যাচ খেলে এবং আরেকজন যদি ৮০ ম্যাচ খেলে তাহলে দুজনের মধ্যে তুলনা করা উচিত নয়। তবে আমার কাছের বন্ধু এবং পাকিস্তানের অধিনায়ক হওয়ায় আমি চাই কোহলির অনেক রেকর্ড ভাঙুক বাবর।’
দুজনের তুলনায় সায় না দিয়ে এ বাঁহাতি ওপেনার আরও বলেছেন, ‘তবে সত্যি বলতে, এখনই আমি দুজনের মধ্যে তুলনার কোনো অর্থ খুঁজে পাই না। একজনের (কোহলি) ১০ হাজারের বেশি রান রয়েছে। হ্যাঁ এটা সত্যি যে, দুজনের ক্যারিয়ার শেষে আমি চাই কোহলির চেয়ে ৩-৪ হাজার রান বেশি করুক বাবর।’
ইমামের মতে, কোহলির চেয়ে বড় গেম চেঞ্জার ভারতের নতুন অধিনায়ক রোহিত শর্মা, ‘আমি মনে করি রোহিত শর্মার যে প্রতিভাটা রয়েছে, কোহলির তা নেই। তাদের দুজনকেই খেলতে দেখেছি আমি। তবে রোহিত যেভাবে খেলে, মনে হয় যেন রিপ্লেতে খেলা হচ্ছে। তার হাতে যেনো অনেক সময়।’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘পয়েন্টে ফিল্ডিং করার সুবাদে ব্যাটিংয়ের টাইমিং সম্পর্কে ভালো ধারণা রয়েছে আমার। কোহলি-রোহিত দুজনই আমার সামনে ব্যাট করেছে। কিন্তু রোহিত যেন বাড়তি সময় পায় সবসময়। সে চোখের পলকে ম্যাচ বদলে দিতে পারে। সেট হয়ে গেলে নিজের মর্জিমাফিক মারতে পারে।’
উল্লেখ্য, বর্তমান সময়ে ইমাম উল হক নিজেও দারুণ ফর্মে রয়েছেন। ওয়ানডে ক্রিকেটে মাত্র ৫২ ম্যাচে ৯ সেঞ্চুরি ও ১৪ হাফসেঞ্চুরিতে ৫৪.৮৬ গড়ে ২৫২০ রান করেছেন ইমাম। যা সাম্প্রতিক সময়ে বিশ্বের যেকোনো ওপেনারের জন্যই ঈর্ষনীয় পরিসংখ্যান।