সিলেটের গোয়ানইঘাটে পূর্বশত্রুতার জেরে এক যুবককে গলা কেটে হত্যার পর তার বসতঘর পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় শনিবার (১৬ জুলাই) পুলিশ ১২ জনকে আটক করেছে।
এর আগে শুক্রবার (১৫ জুলাই) রাত ৮টার দিকে এ হত্যাকাণ্ড ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলেট জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. লুৎফর রহমান।
তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত এ ঘটনায় জড়িত ১২ জনকে আটক করেছে পুলিশ। বাকিদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে।
নৃশংস এ হত্যাকাণ্ডের শিকার আব্দুল কাদির (২৮) গোয়াইনঘাট উপজেলা সদর ইউনিয়নের দক্ষিণ লাবু গ্রামের আব্দুল খালিকের ছেলে। তিনি ওই এলাকায় চার বছর আগে সংঘটিত একটি হত্যা মামলার আসামি ছিলেন।
জানা গেছে, শুক্রবার (১৫ জুলাই) দিবাগত রাতে আগের হত্যাকাণ্ডের জের ধরে লাবু গ্রামের লুৎফুর রহমানের নেতৃত্বে কাদিরকে গলা কেটে হত্যা করা হয়। এরপর তার বসতঘরে অগ্নিসংযোগ করেন হত্যাকারীরা। এ ঘটনায় মূল অভিযুক্ত লুৎফুর রহমানসহ ১২ জনকে পুলিশ শনিবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে আটক করেছে। এছাড়া হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত দাসহ দেশীয় অস্ত্র জব্দ করা হয়েছে।
আটকরা হলেন, উপজেলার লাবু গ্রামের বাসিন্দা লুৎফুর রহমান, আলী হোসেন, আলম হোসেন, বেলায়েত হোসেন, কাজী কামাল, আব্দুন নুর, জসীম উদ্দীন, হাবিবুল্লাহ, মিসবাহ উদ্দিন ও অলিউল্লাহ।
গোয়াইনঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম নজরুল ইসলাম জানান, নিহত কাদিরের ময়নাতদন্ত শেষে শনিবার বিকেল ৩টার দিকে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এ ঘটনায় নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে জানিয়ে ওসি বলেন, ঘটনায় জড়িত অন্যদের আটকে পুলিশের একাধিক দল মাঠে রয়েছে।