অনলাইন ডেস্ক:
বখাটে ও তার সহযোগিদের অব্যাহত যৌণ হয়রানীর কারণে স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে দশম শ্রেনীতে পড়–য়া এক স্কুল ছাত্রী। বখাটের হাত থেকে রেহাই পেতে ইতোমধ্যে ওই ছাত্রী আত্মহত্যার চেষ্টা চালিয়েছেন। এ নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনাটি জেলার গৌরনদী উপজেলার খাঞ্জাপুর ইউনিয়নের উত্তর মাগুরা গ্রামের।
সোমবার সকালে ওই গ্রামের শিশির ঘরামীর পুত্র কলেজ ছাত্র শিবু ঘরামী জানান, তার বোন দিপা ঘরামী (১৫) বাকাই নিরাঞ্জন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেনীতে পড়াশুনা করছে।
দীর্ঘদিন থেকে স্কুলে আসা-যাওয়ার পথে পাশ্ববর্তী বয়সা গ্রামের হিমেল শেখের পুত্র নাহিদ শেখ তার বোনকে বিভিন্ন ধরনের উত্যক্ত করে আসছে। এনিয়ে স্থানীয়ভাবে একাধিকবার সালিশ বৈঠক হলেও বখাটে হিমেল তার বোনকে উত্যক্তের মাত্রা আরো বাড়িয়ে দেয়।
স্কুল ছাত্রী দিপা ঘরামী জানায়, গত ৪ জুলাই দুপুরে স্কুল থেকে পরীক্ষা শেষে বাড়ি ফেরার পথে বখাটে হিমেল ও তার সহযোগিরা পথরোধ করে তাকে টানা হেচরা শুরু করে।
এসময় সে (দিপা) ডাকচিৎকার শুরু করায় স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে বখাটেরা পালিয়ে যায়। বাড়িতে ফিরে বিষয়টি সে তার পরিবারের সদস্যদের জানায়।
পরবর্তীতে স্কুলের প্রধানশিক্ষককে ঘটনাটি জানানো সত্বেও সে নানাতালবাহানা শুরু করে। এতে অভিমান করে ওইদিন বিকেলে স্কুল ছাত্রী ঘরে থাকা বিভিন্ন ওষুধ সেবন করে আত্মহত্যার চেষ্টা চালায়।
পরিবারের সদস্যরা মুমূর্ষ অবস্থায় দিপাকে উদ্ধার করে প্রথমে গৌরনদী ও তাৎক্ষনিক উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখান থেকে কিছুটা সুস্থ্য হয়ে বাড়িতে ফিরে গত চারদিন থেকে দিপা ঘরামী বখাটের ভয়ে স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে।
এ ব্যাপারে বাকাই নিরাঞ্জন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধানশিক্ষক অখিল চন্দ্র দাস বলেন, হিমেল শেখকে নিয়ে স্থানীয়ভাবে কয়েকবার সালিশ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
তার পরেও দিপা ঘরামীকে সে বিভিন্ন ধরনের উত্যক্ত করে আসছে বলে ওই ছাত্রী ও তার পরিবারের সদস্যরা তাকে জানিয়েছেন। প্রাথমিকভাবে তাদের আইনের আশ্রয় নেয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
গৌরনদী মডেল থানার ওসি গোলাম সরোয়ার জানান, এ বিষয়ে থানায় কেউ অভিযোগ করেননি। তার পরেও বিষয়টির খোঁজখবর নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।