স্বপ্নের মতো এক বিশ্বকাপ কাটালেন সাকিব আল হাসান। বাংলাদেশ সেমিফাইনালের স্বপ্ন পূরণ করতে পারেনি। কিন্তু একজন সাকিব পেরেছেন কেন তিনি শেষ দশ বছর ধরে বিশ্বসেরা, তা বিশ্বকাপের মঞ্চে উপস্থান করতে। ব্যাটিং এবং বোলিংয়ে অনন্য সব কীর্তি গড়েছেন। প্রায় প্রতিটি ম্যাচে সাকিবের নামের পাশে যোগ হয়ে রেকর্ড।
কখনো কোনো রেকর্ড ছুঁয়েছেন, কখনো নতুন করে বিশ্ব রেকর্ড গড়েছেন, আবার কখনো এমন কিছু নজির গড়েছেন যা ইতিহাসে বিরল। সেই ধারাবাহিকতায় শুক্রবার যেমন নিজেদের শেষ বিশ্বকাপ ম্যাচে শচীন টেন্ডুলকারের রেকর্ড ছুঁয়েছেন সাকিব।
লর্ডসে শুক্রবার পাকিস্তানের বিপক্ষে হার দিয়ে ম্যাচ শেষ করে বাংলাদেশ। বোলিংয়ে এদিন উইকেট না পেলেও ব্যাট হাতে খেলেন ৬৪ রানের ইনিংস। এবারের আসরে ৮ ইনিংসে যেটি তার সপ্তম ফিফটি ছোঁয়া ইনিংস, যার দুটি সেঞ্চুরি।
এক বিশ্বকাপে সাতটি পঞ্চাশ ছোঁয়া ইনিংস এর আগে খেলেছেন কেবল টেন্ডুলকার। ভারতীয় কিংবদন্তির পর সাকিব এই নজির গড়লেন। টেন্ডুলকার ২০০৩ বিশ্বকাপে এই কীর্তি গড়েছিলেন। ৬টি ফিফটির সঙ্গে ছিল ১ টি সেঞ্চুরি।
দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠিত সেই বিশ্বকাপেই মোট ৬৭৩ রান করেন টেন্ডুলকার। বিশ্বকাপের এক আসরে যা এখনো পর্যন্ত সর্বোচ্চ। এদিন বিশ্বকাপের এক আসরে তৃতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে ছয়’শ রানের কীর্তিও গড়েছেন সাকিব। শচীন ও সাকিবের মাঝে আছেন অস্ট্রেলিয়ার ম্যাথু হেইডেন। ২০০৭ বিশ্বকাপে তিনি করেছিলেন ৬৫৯ রান।
সাকিব অবশ্য টেন্ডুলকার ও হেইডেন দুজনের চেয়ে কম ইনিংস খেলে কীর্তিটা গড়েছেন। টেন্ডুলকার ১১ ও হেইডেন ১০ ইনিংস খেলেছিলেন। সাকিব সেখানে ৮ ইনিংসেই নিজের ছাপ রাখলেন।
বিশ্বকাপে সর্বকালের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের তালিকাতেও জায়গা করে নিয়েছেন সাকিব। ৪ বিশ্বকাপ খেলে মোট ২৯ ম্যাচে সাকিবের সংগ্রহ ১১৪৬। যা তাকে এই তালিকায় নবম স্থানে রেখেছে।
আর বিশ্বকাপের ইতিহাসে সেরা অলরাউন্ড পারফম্যান্সও সাকিবের। ৬০৬ রান ও ১১ উইকেট নিয়ে আসর শেষ করলেন বাংলাদেশি তারকা। এই বিশ্বকাপের আগে ৪০০ রানের সঙ্গে ১০ উইকেট নেওয়ার কীর্তিও ছিল না কারো।