এপ্রিল ২০, ২০২৫
Bangla Online News Banglarmukh24.com
আবহাওয়া ইসলাম ধর্ম

তাপপ্রবাহ; বৃষ্টির জন্য যে দোয়া করবেন

কখনো কখনো বৃষ্টি, অনাবৃষ্টি কিংবা অতিবৃষ্টির আজাব নেমে আসে মানব সমাজে। কিন্তু কেন? এমন অনেক প্রশ্নের উত্তর দিয়ে আল্লাহ মহান পবিত্র কোরআনে ইরশাদ করেছেন, ‘মানুষের কৃতকর্মের কারণে স্থলে ও সমুদ্রে বিপর্যয় প্রকাশ পায়। ফলে আল্লাহ তাদের কতিপয় কৃতকর্মের স্বাদ তাদের আস্বাদন করান, যাতে তারা ফিরে আসে।’ (সূরা আর-রূম: ৪১)।

তাই তো আল্লাহর নবি হজরত নূহ (আ.) তাঁর জাতিকে বলেছিলেন, ‘তোমাদের রবের কাছে ক্ষমা চাও; নিশ্চয়ই তিনি পরম ক্ষমাশীল’। ‘তিনি তোমাদের ওপর মুষলধারে বৃষ্টি বর্ষণ করবেন।’ (সূরা নূহ: ১০-১৩)

হজরত মুসা আলাইহিস সালামের সময় মিশরে অনাবৃষ্টি ও তীব্র খরার কারণে মানুষের জীবন-যাপন খুব কষ্টকর হয়ে ওঠে। গবাদি পশুগুলো মারা যাওয়ার উপক্রম হয়। জমি চাষ করা যাচ্ছিল না। কোনো উপায় না দেখে মিশরের জনগণ হজরত মুসা আলাইহিস সালামের কাছে যান। আল্লাহর কাছে বৃষ্টির জন্য প্রার্থনার আহ্বান জানান।

হজরত মুসা আলাইহিস সালাম আল্লাহর কাছে বৃষ্টির জন্য প্রার্থনা করে বলেন, ‘হে আল্লাহ! মিশরের জমিনে অনেক দিন বৃষ্টি নেই, তুমি বৃষ্টি দাও হে প্রভু! তুমি দয়া করো হে প্রভু!’

হজরত আনাস ইবনে মালেক রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সময় একবছর দুর্ভিক্ষ দেখা দেয়। সে সময় একদিন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম খুতবাহ দেওয়ার সময় এক বেদুঈন উঠে দাঁড়াল এবং আরজ করল, হে আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! বৃষ্টি না হওয়ার কারণে সম্পদ ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে, পরিবার-পরিজন অনাহারে মরছে। আপনি আমাদের জন্য দোয়া করুন।

রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম দুই হাত তুলে দোয়া করলেন, ‘হে আল্লাহ! আমাদের মেঘ দিন।’ আমাদের ফরিয়াদ শুনুন! আমাদের ফরিয়াদ শুনুন! সে সময় আকাশে কোনো মেঘ ছিল না। হজরত আনাস (রা.) বলেন, আল্লাহর কসম করে বলছি! তিনি (রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হাত না নামাতেই পাহাড়ের মতো মেঘের খণ্ড এসে একত্র হয়ে গেল এবং তাঁর মিম্বর থেকে নামার সঙ্গে সঙ্গেই ফোঁটা ফোঁটা বৃষ্টি পড়তে লাগল।

এভাবে দিনের পর দিন ক্রমাগত পরবর্তী জুমআ পর্যন্ত (বৃষ্টি) হতে থাকল। পরবর্তী জুমআর দিনে সেই বেদুঈন অথবা অন্য কেউ দাঁড়িয়ে বলল, হে আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অতি বৃষ্টিতে আমাদের বাড়ি-ঘর ভেঙে পড়ে যাচ্ছে, ফসল ডুবে যাচ্ছে। অতএব আপনি আল্লাহর কাছে আমাদের জন্য দোয়া করুন।

তখন তিনি দুই হাত তুললেন এবং বললেন, হে আল্লাহ! আমাদের পার্শ্ববর্তী এলাকায় বৃষ্টি দাও, আমাদের এখানে নয়। এ সময় তিনি স্বীয় আঙুল দিয়ে মেঘের দিকে ইশারা করেছিলেন। ফলে সেখান থেকে মেঘ কেটে যাচ্ছিল।’ (বুখারি)

মুসলমানদের শেষ নবি হজরত মুহাম্মদ (সা.) বৃষ্টির জন্য দোয়া পাঠ করতেন। দোয়াটি হলো, ‘আলহামদু লিল্লাহি রাবি্বল আলামিন। আর রাহমানির রাহিম। মালিকি ইয়াউমিদ্দিন। লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ইয়াফয়ালু মা ইউরিদ। আল্লাহুম্মা আনতাল্লাহু লা ইলাহা ইল্লা আনতাল গানিয়্যু ওয়া নাহলুল ফুকারাউ। আনজিল আলাইনাল গাইছা ওয়াজয়া’ল মা আনজালতা লানা কুওয়্যাতান ওয়া বালাগান ইলা খাইরিন।’ অর্থাৎ ‘সব প্রশংসা পৃথিবীর প্রতিপালক আল্লাহর জন্য। তিনি পরম করুণাময় এবং দয়ালু ও শেষ বিচারের মালিক। আল্লাহ ছাড়া অন্য কোনো মাবুদ নেই, তিনি যা ইচ্ছা করেন, তা-ই করেন। হে আল্লাহ! তুমিই একমাত্র মাবুদ, তুমি ছাড়া আর কোনো মাবুদ নেই। তুমি ধনী, আমরা গরিব। আমাদের ওপর বৃষ্টি বর্ষণ করো এবং আমাদের জন্য যা অবতীর্ণ করো, তা আমাদের জন্য শক্তিময় ও কল্যাণ দান করো।’ এ দোয়ার মাধ্যমে আল্লাহ তায়ালার কাছে তাঁর দয়া ও রহমত লাভের জন্য প্রার্থনা করা হয়।

বৃষ্টি যেন মানুষের জন্য কল্যাণকর হয়, এ জন্যও বিশ্বনবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আল্লাহর কাছে দোয়া করতেন। বৃষ্টির জন্য কুরআনুল কারিমে ইসতেগফারের আমল করতেও বলা হয়েছে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘অতপর বলেছি, তোমরা তোমাদের পালনকর্তার ক্ষমা প্রার্থনা কর। তিনি অত্যন্ত ক্ষমাশীল। তিনি তোমাদের উপর অজস্র বৃষ্টিধারা ছেড়ে দেবেন। তোমাদের ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্তুতি বাড়িয়ে দেবেন। তোমাদের জন্যে উদ্যান স্থাপন করবেন এবং তোমাদের জন্যে নদী-নালা প্রবাহিত করবেন।’ (সুরা নুহ: আয়াত ১০-১২)

এ আয়াতে কারিমায় মানুষের ইসতেগফারের ফলে মহান আল্লাহ বান্দার জন্য বৃষ্টি দান করেন। আর বৃষ্টির মাধ্যমেই আল্লাহ তাআলা বান্দার জন্য রিজিকের ব্যবস্থা করেন।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে ইসলামের নির্দেশনা অনুযায়ী বৃষ্টির সময় কল্যাণের দোয়া করার তাওফিক দান করুন। কোরআন-হাদিসের ওপর যথাযথ আমল করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

কখনো কখনো বৃষ্টি, অনাবৃষ্টি কিংবা অতিবৃষ্টির আজাব নেমে আসে মানব সমাজে। কিন্তু কেন? এমন অনেক প্রশ্নের উত্তর দিয়ে আল্লাহ মহান পবিত্র কোরআনে ইরশাদ করেছেন, ‘মানুষের কৃতকর্মের কারণে স্থলে ও সমুদ্রে বিপর্যয় প্রকাশ পায়। ফলে আল্লাহ তাদের কতিপয় কৃতকর্মের স্বাদ তাদের আস্বাদন করান, যাতে তারা ফিরে আসে।’ (সূরা আর-রূম: ৪১)।

তাই তো আল্লাহর নবি হজরত নূহ (আ.) তাঁর জাতিকে বলেছিলেন, ‘তোমাদের রবের কাছে ক্ষমা চাও; নিশ্চয়ই তিনি পরম ক্ষমাশীল’। ‘তিনি তোমাদের ওপর মুষলধারে বৃষ্টি বর্ষণ করবেন।’ (সূরা নূহ: ১০-১৩)

হজরত মুসা আলাইহিস সালামের সময় মিশরে অনাবৃষ্টি ও তীব্র খরার কারণে মানুষের জীবন-যাপন খুব কষ্টকর হয়ে ওঠে। গবাদি পশুগুলো মারা যাওয়ার উপক্রম হয়। জমি চাষ করা যাচ্ছিল না। কোনো উপায় না দেখে মিশরের জনগণ হজরত মুসা আলাইহিস সালামের কাছে যান। আল্লাহর কাছে বৃষ্টির জন্য প্রার্থনার আহ্বান জানান।

হজরত মুসা আলাইহিস সালাম আল্লাহর কাছে বৃষ্টির জন্য প্রার্থনা করে বলেন, ‘হে আল্লাহ! মিশরের জমিনে অনেক দিন বৃষ্টি নেই, তুমি বৃষ্টি দাও হে প্রভু! তুমি দয়া করো হে প্রভু!’

হজরত আনাস ইবনে মালেক রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সময় একবছর দুর্ভিক্ষ দেখা দেয়। সে সময় একদিন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম খুতবাহ দেওয়ার সময় এক বেদুঈন উঠে দাঁড়াল এবং আরজ করল, হে আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! বৃষ্টি না হওয়ার কারণে সম্পদ ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে, পরিবার-পরিজন অনাহারে মরছে। আপনি আমাদের জন্য দোয়া করুন।

রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম দুই হাত তুলে দোয়া করলেন, ‘হে আল্লাহ! আমাদের মেঘ দিন।’ আমাদের ফরিয়াদ শুনুন! আমাদের ফরিয়াদ শুনুন! সে সময় আকাশে কোনো মেঘ ছিল না। হজরত আনাস (রা.) বলেন, আল্লাহর কসম করে বলছি! তিনি (রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হাত না নামাতেই পাহাড়ের মতো মেঘের খণ্ড এসে একত্র হয়ে গেল এবং তাঁর মিম্বর থেকে নামার সঙ্গে সঙ্গেই ফোঁটা ফোঁটা বৃষ্টি পড়তে লাগল।

এভাবে দিনের পর দিন ক্রমাগত পরবর্তী জুমআ পর্যন্ত (বৃষ্টি) হতে থাকল। পরবর্তী জুমআর দিনে সেই বেদুঈন অথবা অন্য কেউ দাঁড়িয়ে বলল, হে আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অতি বৃষ্টিতে আমাদের বাড়ি-ঘর ভেঙে পড়ে যাচ্ছে, ফসল ডুবে যাচ্ছে। অতএব আপনি আল্লাহর কাছে আমাদের জন্য দোয়া করুন।

তখন তিনি দুই হাত তুললেন এবং বললেন, হে আল্লাহ! আমাদের পার্শ্ববর্তী এলাকায় বৃষ্টি দাও, আমাদের এখানে নয়। এ সময় তিনি স্বীয় আঙুল দিয়ে মেঘের দিকে ইশারা করেছিলেন। ফলে সেখান থেকে মেঘ কেটে যাচ্ছিল।’ (বুখারি)

মুসলমানদের শেষ নবি হজরত মুহাম্মদ (সা.) বৃষ্টির জন্য দোয়া পাঠ করতেন। দোয়াটি হলো, ‘আলহামদু লিল্লাহি রাবি্বল আলামিন। আর রাহমানির রাহিম। মালিকি ইয়াউমিদ্দিন। লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ইয়াফয়ালু মা ইউরিদ। আল্লাহুম্মা আনতাল্লাহু লা ইলাহা ইল্লা আনতাল গানিয়্যু ওয়া নাহলুল ফুকারাউ। আনজিল আলাইনাল গাইছা ওয়াজয়া’ল মা আনজালতা লানা কুওয়্যাতান ওয়া বালাগান ইলা খাইরিন।’ অর্থাৎ ‘সব প্রশংসা পৃথিবীর প্রতিপালক আল্লাহর জন্য। তিনি পরম করুণাময় এবং দয়ালু ও শেষ বিচারের মালিক। আল্লাহ ছাড়া অন্য কোনো মাবুদ নেই, তিনি যা ইচ্ছা করেন, তা-ই করেন। হে আল্লাহ! তুমিই একমাত্র মাবুদ, তুমি ছাড়া আর কোনো মাবুদ নেই। তুমি ধনী, আমরা গরিব। আমাদের ওপর বৃষ্টি বর্ষণ করো এবং আমাদের জন্য যা অবতীর্ণ করো, তা আমাদের জন্য শক্তিময় ও কল্যাণ দান করো।’ এ দোয়ার মাধ্যমে আল্লাহ তায়ালার কাছে তাঁর দয়া ও রহমত লাভের জন্য প্রার্থনা করা হয়।

বৃষ্টি যেন মানুষের জন্য কল্যাণকর হয়, এ জন্যও বিশ্বনবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আল্লাহর কাছে দোয়া করতেন। বৃষ্টির জন্য কুরআনুল কারিমে ইসতেগফারের আমল করতেও বলা হয়েছে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘অতপর বলেছি, তোমরা তোমাদের পালনকর্তার ক্ষমা প্রার্থনা কর। তিনি অত্যন্ত ক্ষমাশীল। তিনি তোমাদের উপর অজস্র বৃষ্টিধারা ছেড়ে দেবেন। তোমাদের ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্তুতি বাড়িয়ে দেবেন। তোমাদের জন্যে উদ্যান স্থাপন করবেন এবং তোমাদের জন্যে নদী-নালা প্রবাহিত করবেন।’ (সুরা নুহ: আয়াত ১০-১২)

এ আয়াতে কারিমায় মানুষের ইসতেগফারের ফলে মহান আল্লাহ বান্দার জন্য বৃষ্টি দান করেন। আর বৃষ্টির মাধ্যমেই আল্লাহ তাআলা বান্দার জন্য রিজিকের ব্যবস্থা করেন।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে ইসলামের নির্দেশনা অনুযায়ী বৃষ্টির সময় কল্যাণের দোয়া করার তাওফিক দান করুন। কোরআন-হাদিসের ওপর যথাযথ আমল করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

সম্পর্কিত পোস্ট

রোজা রেখে আতর-পারফিউম ব্যবহার করা যাবে?

banglarmukh official

গর্ভবতী নারীর রোজার মাসয়ালা

banglarmukh official

তারাবির নামাজ ছুটে গেলে করণীয়

banglarmukh official

রোজা অবস্থায় কি দাঁত ব্রাশ করা যাবে?

banglarmukh official

চাঁদ দেখা গেছে, সৌদি আরবে রোজা শুরু শনিবার

banglarmukh official

শাবান মাসে কত তারিখ পর্যন্ত রোজা রাখা যাবে

banglarmukh official