ক্রোয়েশিয়ার জাদার শহরের ঠিক পাশেই ডায়নারিক আল্পসের পাদদেশে এক দরিদ্র পরিবারে জন্ম নেন ক্রোয়েট তারকা লুকা মদ্রিচ। ছোটবেলাটা বেশ কষ্টে কেটেছে তার। যুদ্ধের দামামার মাঝেই বড় হয়েছেন ক্রোয়েশিয়ার এই অধিনায়ক। সে সময়ে জাদার শহরের অবস্থা ছিল বর্তমান ইরাক, সিরিয়া, আফগানিস্তানের মতো।
তার জীবনের বেশ কয়েক বছর কেটেছে রিফিউজি ক্যাম্পে। মদ্রিচের ছোট্ট সেই শহর জাদার এবার সেজে উঠেছে বিশ্বকাপের জন্য। জাদার হচ্ছে ক্রোয়েশিয়ার সবচেয়ে পুরাতন ও ঘনবসতিপূর্ণ একটি শহর। ভ্রমণপিয়াসু মানুষদের কাছে এক স্বপ্নের শহর এটি। এই শহর থেকেই ৪ জন ফুটবলার ফ্রান্সের বিপক্ষে বিশ্বকাপের ফাইনালের মাঠে নামেন।
মদ্রিচ ছাড়াও ড্যানিয়েল সুবাসিচ, সিমে ভ্রাসালকো ও গোলরক্ষক ডোমিনিক লিভাকোভিচেরও জন্ম এখানে। রাশিয়া বিশ্বকাপের ফাইনালে হেরেও গোল্ডেন বল জিতলেন ক্রোয়েশিয়ার লুকা মদ্রিচ। ক্রোয়েশিয়ার ১০ নম্বর জার্সি টুর্নামেন্টের সেরা ফুটবলার নির্বাচিত হয়েছেন। ফাইনাল ম্যাচে পরাজিত দলে থাকলেও ব্যক্তিগত সাফল্যের খাতায় একটি ট্রফি যোগ হলো মদ্রিচের। ঠিক যেনো ২০১৪ সালে লিওনেল মেসির ভাগ্য! লুকা মদ্রিচ বিশ্বকাপের সেরা খেলোয়াড়ের গোল্ডেন বল জিতেছেন। বিশ্বকাপের দ্বিতীয় সেরা খেলোয়াড় সিলভার বল জিতেছেন বিশ্বকাপ জয়ী দল ফ্রান্সের তারকা স্ট্রাইকার আন্তোনিও গ্রিজম্যান। এছাড়া তৃতীয় সেরা খেলোয়াড়ের ব্রোঞ্জ বল জিতেছেন বিশ্বকাপে তৃতীয় হওয়া বেলজিয়ামের তারকা এডেন হ্যাজার্ড।
আসলে একটি বিশ্বকাপের সাথে মিশে থাকে অজস্র গল্প। একটি দল জিতে যায় বিশ্বকাপ। সেই সাথে রচিত হয় অংশগ্রহণকারী ফুটবলারদের জীবনের বিভিন্ন না ভোলা মুহূর্ত। ইতিহাসে জায়গা করে নেয় অনেকের নাম। সাধারণ কোনো দলের কারো অসাধারণভাবে জ্বলে উঠা কিংবা অসাধারণ কারো আরও অসাধারণ হয়ে উঠার সাক্ষী হয়ে থাকে বিশ্বকাপ।