নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম দুই সেজদার মাঝে চমৎকার দোয়া পড়তেন। এ দোয়াগুলোর মাঝে মানুষর জীবনের সব চাওয়াগুলো রয়েছে। হাদিসের একাধিক বর্ণনায় তা ফুটে ওঠেছে। দুই সেজদার মাঝে নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কী দোয়া পড়তেন?
দুই সেজদার মাঝে নবিজী যে দোয়া পড়তেন, তাহলো-
اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِي وَارْحَمْنِي وَعَافِنِي وَاهْدِنِي وَارْزُقْنِي وَاجْبُرْنِي وَارْفَعْنِي
উচ্চারণ : ‘আল্লাহুম্মাগফিরলি ওয়ারহামনি ওয়া আফিনি, ওয়াহদিনি, ওয়ারযুকনি, ওয়াঝবুরনি, ওয়ারফানি।’
অর্থ : ‘হে আল্লাহ! আমাকে ক্ষমা করুন। আমার উপর রহম করুন। আমাকে নিরাপত্তা দান করুন। আমাকে সঠিক পথে পরিচালিত করুন। আমাকে রিজিক দান করুন। আমার সব ক্ষয়ক্ষতি পূর্ণ করে দিন। আমার মর্যাদা বাড়িয়ে দিন।’
নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের তিনটি আলাদা হাদিসে বরকতময় ও গুরুত্বপূর্ণ দোয়ার এ শব্দমালাগুলো ওঠে এসেছে। তাহলো-
১. হজরত ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম দুই সেজদার মাঝে এ দোয়া পড়তেন-
اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِي وَارْحَمْنِي وَعَافِنِي وَاهْدِنِي وَارْزُقْنِي
উচ্চারণ : আল্লাহুম্মাগফিরলি, ওয়ারহামনি, ওয়া আফিনি, ওয়াহদিনি, ওয়ারযুকনি।
অর্থ : হে আল্লাহ আপনি আমাকে ক্ষমা করুন, আমার উপর রহম করুন, আমাকে শান্তি দান করুন, আমাকে হেদায়েত দান করুন এবং আমাকে রিজিক দান করুন।’ (আবু দাউদ)
২. হজরত ইবনু আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম দুই সেজদার মাঝখানে বলতেন-
اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِي وَارْحَمْنِي وَاجْبُرْنِي وَاهْدِنِي وَارْزُقْنِي
উচ্চারণ : ’আল্লাহুম্মাগফিরলি, ওয়ারহামনি, ওয়াঝবুরনি, ওয়াহদিনি, ওয়ারযুকনি।’
অর্থ : হে আল্লাহ আপনি আমাকে ক্ষমা করুন, আমার উপর রহম করুন, আমার সব ক্ষয়ক্ষতি পূরণ করুন, আমাকে হেদায়েত দান করুন এবং আমাকে রিজিক দান করুন।’। (ইবনে মাজাহ)
৩. হজরত ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম রাতের নামাজে দুই সেজদার মাঝে (বসে) বলতেন-
رَبِّ اغْفِرْ لِي وَارْحَمْنِي وَاجْبُرْنِي وَارْزُقْنِي وَارْفَعْنِي
উচ্চারণ : ‘রব্বিগফিরলি, ওয়ারহামনি, ওয়াঝবুরনি, ওয়ারযুকনি, ওয়ারফানি।’
অর্থ : (হে আল্লাহ! আমাকে ক্ষমা করুন, আমাকে দয়া করুন, আমার বিপদ দূর করুন, আমাকে রিজিক দান করুন এবং আমার মর্যাদা বাড়িয়ে দিন।’ (তিরমিজি)
যদিও গোটা নামাজই আল্লাহর প্রশংসা ও দোয়া। তারপরও নামাজের প্রতিটি রোকনেই মানুষ আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে। রহমত বরকত মাগফেরাত, নাজাত কামনা করে। দুনিয়া ও পরকালের কল্যাণে প্রয়োজনগুলো তুলে ধরে।
দুই সেজদার মাঝের দোয়াগুলো প্রতিটি মানুষের জন্য খুবই প্রয়োজনীয়। সেজদার মাঝেই মানুষ মহান রবের খুব কাছাকাছি অবস্থান করে। তাই দুই সেজদার মাঝে মহান রবের কাছে মানুষ নিজেদের চাহিদাগুলো তুলে ধরেন।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে দুই সেজদার মাঝে এ দোয়াগুলো বেশি বেশি পড়ার মাধ্যমে রহমত বরকত মাগফেরাত ও নাজাত কামনার পাশাপাশি দুনিয়া ও পরকালের কল্যাণ মর্যাদা পাওয়ার তাওফিক দান করুন। আমিন।