বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে স্বামী-স্ত্রী হিসেবে বসবাসের পর প্রেমিক বিয়ে করতে অস্বীকার করায় ধর্ষণের অভিযোগ এনেছেন দুই সন্তানের জননী। তিনি এখন ধর্ষকের বিচারের দাবীতে মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। প্রেমিকের প্রলোভনে স্বামীকে তালাক দিয়ে দু’কূলই হারিয়েছেন অসহায় ওই নারী। বর্তমানে ওই নারী তার প্রেমিক মুলাদী উপজেলার কাজিরচর ইউনিয়নের চরকমিশনার এলাকার আঃ রশিদ ওরফে হিরা সরদারের পুত্র সাইফুল সরদারের পাশ্ববর্তী বাড়িতে অবস্থান করে বিভিন্ন মানুষের কাছে ধর্ণা দিচ্ছেন। কিন্তু কেহই ওই নারীর বিষয়ে সমাধান দিতে পারছে না।
থানা পুলিশও কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারছে না বলে জানিয়ে দেওয়ায় ওই নারীর আদালতে শরনাপন্ন হওয়া ছাড়া কোনো উপায় দেখছে না কেউ। কিন্তু আদালতে সমাধান পাওয়া সময় সাপেক্ষ হওয়ায় ধর্ষিতা নারী স্থানীয় লোকজনের মাধ্যমে সমাধানের চেষ্টা করছেন। কিন্তু ধর্ষক প্রেমিক প্রভাবশালী হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছে না। এছাড়া প্রেমিক দুই সন্তানের জননীকে অব্যহত হুমকি দিয়ে এলাকা ছাড়া করার চেষ্টা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
দুই সন্তানের জননী জানান প্রায় দের বছর আগে মুলাদী উপজেলার দক্ষিণ কাজিরচর গ্রামের হুমায়ুন সিকদারের মাধ্যমে চরকমিশনার গ্রামের আঃ রশিদ ওরফে হিরা সরদারের পুত্র সাইফুল সরদারের সাথে তার পরিচয় হয়। পরিচয়ের এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সাইফুল বিয়ের আশ্বাসে ওই গৃহবধুকে দিয়ে তার স্বামীকে তালাক দেওয়ায়। পরে সাইফুল ওই নারীকে নিয়ে বিভিন্ন স্থানে ঘুরে বেড়ায়। তিন মাস ধরে সাইফুল বরিশাল সদরের কাউনিয়া এলাকায় বাসা ভাড়া করে স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে তাকে নিয়ে বসবাসও করে। গত এক সপ্তাহ ধরে সাইফুল বিয়ে নিয়ে তালবাহানা শুরু করে এবং মোবাইল ফোন বন্ধ করে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়।
সাইফুলের খোঁজে ওই গৃহবধু মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে কাজিরচর ইউনিয়নের চরকমিশনার গ্রামের আলহাজ্ব আবুল সরদারের বাড়িতে আসলে সে তাকে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে নিয়ে আসে। ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মন্টু বিশ্বাস তাকে মুলাদী থানায় পাঠায়। থানা পুলিশ মামলা গ্রহণে অস্বীকৃতি জানালে ওই গৃহবধু পুনঃরায় কাজিরচর এলাকায় গিয়ে প্রেমিক সাইফুল সরদারের সহযোগী হুমায়ুন সিকদারের বাড়িসহ বেশ কয়েকটি বাড়িতে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। এরির্পোট লেখা পর্যন্ত ওই নারী চরকমিশনার এলাকায় অবস্থান করছিলো।