গত সোমবার তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম ৭৫ টাকা কমিয়ে ৯৯৯ টাকা নির্ধারণ করেছেন বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। কিন্তু বরিশালে খুচরা বাজারে এর সুফল এখনো ভোগ করতে পারছেন না ক্রেতারা। আগের দামেই বিক্রি করা হচ্ছে এলপিজি গ্যাস।
মঙ্গলবার দুপুরে নগরীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, নির্ধারিত দামে মিলছে না এলপিজি গ্যাস। ভোক্তা পর্যায়ে এলপি গ্যাসের ১২ কেজির মূল্য ১ হাজার ৩০ টাকা থেকে ১১৫০ টাকা পর্যন্ত নেয়া হচ্ছে। এর মধ্যে লাফস ১ হাজার ৩০ টাকা, টোটাল ও পেট্রোম্যাক্স ১১৬০, ফাইবার ১১৫০ এবং বসুন্ধরা ১১৬০ থেকে ১২৫০ টাকায় বিক্রি করছেন বিক্রেতারা।
বটতলা বাজারের আকন স্টোরের মালিক মাহতাব হোসেন বলেন, আমরা সিলিন্ডার প্রতি ৫০ টাকা লাভে বিক্রি করি। তাও চাহিদা অনুযায়ী গ্যাস পাই না। ১ হাজার ১৫০ টাকায় পাইকারি কিনে ১ হাজার ২০০ টাকায়ই বিক্রি করি।
নগরীর বাংলা বাজারে গিয়ে কয়েকটি দোকানে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এখানে কোম্পানি ভেদে নানা দামে গ্যাস বিক্রি হচ্ছে। আপন স্টোরে লাফস গ্যাসের সিলিন্ডার ১ হাজার ৩০ টাকায় বিক্রি হলেও অন্য সব কোম্পানির সিলিন্ডার বাড়তি বিভিন্ন দামে বিক্রি হচ্ছে। অনেক দোকানে ১১০০ টাকার নিচে কোনো গ্যাস নেই।
নিলা ষ্টোরের মুকুল হোসেন বলেন, আমরা ১০০ সিলিন্ডার চাইলে ডিলাররা দেন ২০টা। বর্ধিত দাম গুনেও চাহিদা অনুযায়ী গ্যাস পাচ্ছি না। ক্রেতারা আমাদের দোষে, প্রতিদিনই বচসা হয়। আমরা নিরুপায়।
কালিবাড়ি রোডে গ্যাস সিলিন্ডার কিনতে আসা আবু তাহের বলেন, শুনেছি সিলিন্ডারের দাম কমেছে। তাই ভেবেছিলাম আজ হয়তো কিছুটা কমে কিনতে পারবো। কিন্তু বাজারে এসে দেখলাম আগের পরিস্থিতি আছে এখনও।
বসুন্ধরা গ্যাসের পরিবেশক স্বাধীন মৃধা বলেন, গত এক মাস ধরে বসুন্ধরা গ্যাস সংকট। চাহিদার চেয়ে কম পাওয়অয় খুচরা বিক্রেতাদের ঠিকমতো দিতে পাছি না। দু একটি দোকানে ৩-৪ টি গ্যাস দিতে পারছি। এ কারণে আগের দামেই গ্যাস বিক্রি করচ্ছেন খুচরা বিক্রেতারা। আগামী দুই দিন পর এ সমস্যা আর হবে না।
টোটাল ও পেট্রোম্যাক্স গ্যাস বাংলাদেশের বরিশালের পরিবেশক মলয় সাহা বলেন, ডিলার যে দাম নির্ধারণ করে দিয়েছেন, সে অনুযায়ী গ্যাস বিক্রি করা হচ্ছে। গ্যাসের দাম কমলে আমরা সেই দামে বিক্রি করতে পারি না। কারণ ডিলার আমাদের কাছ থেকে তাদের নির্ধারণ করা দাম নেয়।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর বরিশাল বিভাগীয় কার্যালয়ের উপপরিচালক অপূর্ব অধিকারী বলেন, বিষয়টি নিয়ে মনিটংরি করবো, এবং ব্যবসায়িদের সাথে বসে সরকারি নির্ধারিত দামে গ্যাস বিক্রি করার জন্য বলা হবে। এরপর কেউ না মানলে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।