বরিশাল বিভাগের ছয় জেলায় এ পর্যন্ত মোট চার হাজার ৮০১ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ। এছাড়া সুস্থ হয়েছেন দুই হাজার ৩৮১ জন। মৃত্যু হয়েছে ৯৫ জনের।
গড়ে মোট আক্রান্তের মধ্যে ৪৯.৫৯ শতাংশ রোগী এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন। যার মধ্যে বরিশাল জেলায় ৪৭.৭২ শতাংশ, পটুয়াখালীতে ৪৪.০৫ শতাংশ, ভোলায় ৬৯.৩৬ শতাংশ, পিরোজপুরে ৪৫.৬৩ শতাংশ, বরগুনায় ৫২.৭৪ শতাংশ ও ঝালকাঠিতে ৫০.৬৪ শতাংশ রোগী সুস্থ হয়েছেন। হিসেব অনুযায়ী এ পর্যন্ত বিভাগের মধ্যে ভোলা জেলায় সুস্থের হার সর্বোচ্চ।
এদিকে বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় বরিশাল বিভাগের ছয় জেলায় ১৩০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। আর গেল ২৪ ঘণ্টায় ঝালকাঠি ব্যতীত বিভাগের পাঁচ জেলায় ১৪৭ জন রোগী সুস্থ হয়েছেন। এছাড়া গেল ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়ে বিভাগে কারো মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি।
অপরদিকে করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে বিদেশি নাগরিকসহ ভিন্ন জেলা (সংক্রমিত) থেকে আসা ব্যক্তিদের কোয়ারেন্টিনে রাখার কার্যক্রম চলমান রয়েছে। ফলে গত ১০ মার্চ থেকে এ পর্যন্ত বরিশাল সিটি করপোরেশনসহ বিভাগের ছয় জেলায় মোট ২৬ হাজার ২৩ জনকে কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়। যার মধ্যে হোম কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয় ২১ হাজার ৬১৪ জনকে। এরমধ্যে ১৮ হাজার ৪৩৫ জনকে হোম কোয়ারেন্টিন থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া বিভাগের বিভিন্ন জেলায় হাসপাতালে (প্রতিষ্ঠানিক) কোয়ারেন্টিনে চার হাজার ৪০৯ জন রয়েছেন। এ পর্যন্ত দুই হাজার ৬০০ জনকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে।
এর বাইরে শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালসহ বিভাগের বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে আইসোলেশনে চিকিৎসা পাওয়া রোগীর সংখ্যা এক হাজার ৭৫১ জন। এরইমধ্যে এক হাজার ২৯৬ জনকে ছাড়পত্রও দেয়া হয়েছে।
এছাড়া এ পর্যন্ত শুধুমাত্র বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আইসোলেশন ও করোনা ওয়ার্ডে মোট ১৩৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। যার মধ্যে ৫৪ জন করোনা পজিটিভ রোগী ও বাকিরা উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন।