বরিশাল সিটি করপোরেশন (বিসিসি) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামী সোমবার (৩০ জুলাই)। এ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে চলছে শেষ মুহুর্তের প্রচার-প্রচারণা। যেখানে পাল্টাপাল্টি অভিযোগের মধ্য দিয়ে প্রচার-প্রচারণার মাঠ পুরো সময়টা ধরেই ছিল সরগরম।
প্রার্থী ছাড়াও প্রচারণার মাঠ দাঁপিয়ে বেড়িয়েছেন কেন্দ্রীয় স্থানীয় দলীয় নেতাকর্মী আর সমর্থকরা। তবে এর বাইরেও প্রতিদ্বন্দ্বী মেয়রপ্রার্থীদের পক্ষে প্রচার-প্রচারণা চালিয়েছেন তাদের সহধর্মিণীরা। পাশাপাশি অনেকের সন্তানসহ পরিবারের অন্য সদস্যরাও নেমেছেন প্রচারণার মাঠে ভোট চাইতে প্রার্থীর পক্ষে।
প্রচার-প্রচারণার শুরুর দিক থেকেই মাঠে ছিলেন বিএনপির ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী মজিবর রহমান সরওয়ারের সহধর্মিণী নাছিমা সরওয়ার। তিনি তার স্বামীর পক্ষে ভোট চেয়ে বেড়িয়েছেন গোটা নগরে। তার সঙ্গে ছাত্রদল ও মহিলাদলের নারীনেত্রীরা ছিলেন সহায়ক হিসেবে। আর এ ভোট চাইতে গিয়ে তিনি আওয়ামী লীগ প্রার্থীর নেতাকর্মীদের হুমকিও দিয়ে এসেছেন আলোচনায়। এর বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ নির্বাচন কমিশন পর্যন্ত লিখিত অভিযোগ দিতে বাধ্য হয়েছেন। শুধু মজিবর রহমান সরওয়ারের সহধর্মিণীই নয় তার ছেলে নাফিস সরওয়ারও ছিলেন প্রচার-প্রচারণার মাঠে, কখনো বাবার সঙ্গে আবার কখনো মায়ের সঙ্গে।
এদিকে বিএনপির মূল প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের মেয়রপ্রার্থী সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহর সহধর্মিণী লিপি আবদুল্লাহ শেষ সময়ে হলেও গত কয়েকদিন ধরে নগরের অলি-গলি চষে বেড়াচ্ছেন। যাচ্ছেন ভোটারদের কাছে চাইছেন যুবরত্ন সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহর জন্য ভোট, ভোটারদের দিচ্ছেন নানান প্রতিশ্রুতি।প্রচারণায় মাঠে নেমেছেন আ’লীগের মেয়রপ্রার্থীর সহধর্মিণী লিপি আবদুল্লাহ ও বিএনপির মেয়রপ্রার্থীর সহধর্মিণী নাছিমা সরওয়ার। অপরদিকে জাতীয়পার্টির (জাপা) মেয়রপ্রার্থী ইকবাল হোসেন তাপসের সহধর্মিণী ইসমাত আরা ইকবালও প্রথম থেকেই চষে বেড়াচ্ছেন নগরের বিভিন্ন এলাকা। বিশেষ করে বস্তি এলাকায় তার পদার্পণ ছিল চোখে পড়ার মতো। তিনি তার স্বামীকে সৎ, নিষ্ঠাবান ও কর্মঠ উল্লেখ করে নগরের উন্নয়নের জন্য লাঙ্গল প্রতীকে ভোট চাইছেন।
এর বাইরে থাকা কোনো মেয়রপ্রার্থীর সহধর্মিণীকেই ভোটারদের কাছে যেতে দেখা যায়নি। যদিও সাত মেয়রপ্রার্থীর মধ্যে বাসদের মই প্রতীকের ডা. মনিষা চক্রবর্তী প্রথম নারী মেয়রপ্রার্থী হিসেবে রয়েছেন বেশ খানিকটা আলোচনায়।
এ বিষয়ে নগরের ১১ নম্বর ওয়ার্ডের নারী ভোটার আছিয়া আক্তার জানান, প্রচার-প্রচারণার মাঠে প্রার্থীদের সহধর্মিণীরা নেমেছেন এটা কয়েকবছর আগেও ভাবা যেতো না। কিন্তু এখন দিন পাল্টেছে। সিটি নির্বাচনকে ঘিরে প্রার্থীর পাশাপাশি তাদের পত্নীরাও যে নেমেছেন, এটা প্রার্থীর জন্য ভালো দিক। তেমনি প্রার্থী কতটা নারী সমাজের ওপর শ্রদ্ধা ও আস্থাশীল তা যেমন বোঝা যাচ্ছে। তেমনি নারী ভোটারদের অন্দরমহলে গিয়েও ভোট চাইতে পারছেন প্রার্থীর পক্ষে। যা প্রার্থীর পক্ষে সম্ভব ছিল না।
৬ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা বিলকিস আক্তার জানান, সহধর্মিণীদের মাঠে নেমে প্রার্থীর পক্ষে ভোট চাওয়ায় ফলাফলে প্রভাব পড়বে। কারণ প্রার্থীর চেয়েও তাদের স্ত্রীরা বেশ কাছে যেতে পেরেছেন নারী ভোটারদের।