নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল: শিল্পাঞ্চল সাভারের বেশির ভাগ শিল্পকারখানা ছুটি দিয়েছে আজ। কারখানা ছুটি হতে না হতেই শেকড়ের টানে গ্রামের পানে ছুটছে মানুষ। তবে তাদের বেশিরভাগই ঝুঁকি নিয়ে ট্রাকে করে বাড়ির দিকে ছুটতে দেখা গেছে।
বৃহস্পতিবার (৭ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে সাভারের নবীনগর, বাইপাইল ও জিরানীবাজার বাসস্ট্যান্ড ঘুরে দেখা যায় অধিকাংশ মানুষ ট্রাকে করে বাড়ি রওনা করেছেন। ট্রাকে করে বাড়ি রওনা করা পোশাক শ্রমিক বিপ্লব বলেন, গাড়ির ভাড়া অনেক বেশি, আর টিকেটও পাওয়া যাচ্ছে না। এখন বাড়ি ফেরার ভরসা হলো ট্রাক।
এই ট্রাক না থাকলে হয়তো বছর শেষে বাচ্চাদের মুখ দেখা হতো না, হতো না পরিবারের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করার সুযোগ। ট্রাকে ভাড়াও কম আর সহজলভ্যও। সহজেই পাওয়া যাচ্ছে ট্রাক।
নবীনগর থেকে পিকআপে করে ঘাট পর্যন্ত যাবেন আহম্মদ আলী। তিনি বলেন, এরকম ভোগান্তি হবে ভেবে পরিবারকে আগেই বাড়িতে পাঠিয়ে দিয়েছি। চাকরি করার কারণে টিকেট করতে পারি নাই।
আজ এসে দেখি গাড়ি সব রিজার্ভ। বাইরের যাত্রীদের ওঠার সুযোগ নেই। তাই বাধ্য হয়ে পিকআপে উঠেছি। আর ভোগান্তি না হলে ঈদ মনে হয় না। একটু ভোগান্তি হলেও তো মা-বাবা ভাই-বোন সবার সঙ্গে ঈদ উদযাপন করতে পারব।
ট্রাক চালক শাহিন বলেন, আমরা ট্রাকে যাত্রী না তুলতে চাইলেও তারা জোর করে উঠছেন। অবশেষে যাত্রী নিতে বাধ্য হচ্ছি। আমরা কী করব বলেন? যাত্রীরা তো গাড়ি না পেলে ট্রাকে উঠবেই।
এটা তো অপরাধের কিছু দেখছি না। আমরা ভাড়াও নিচ্ছি কম। বগুড়ার ভাড়া বাইপাইল থেকে নিচ্ছি ৫০০ টাকা। আর বগুড়ায় গাড়িতে গেলে যাত্রীদের কাছ থেকে ১ হাজার টাকা নেওয়া হচ্ছে। অনেক যাত্রীই ফিরে এসে আমাদের ট্রাকে উঠেছেন। তারাই গাড়ির ভাড়ার কথা আমাদের জানালেন।
এ ব্যাপারে সাভার হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতিকুর রহমান বলেন, ট্রাক থেকে যাত্রী নামিয়ে দেওয়া হচ্ছে। আমাদের পর্যাপ্ত টিম রয়েছে, তারা রাস্তার শৃঙ্খলা রক্ষায় কাজ করে যাচ্ছে। আমাদের সামনে দিয়ে ট্রাকে করে যাত্রী যেতে দেওয়া হচ্ছে না।