টেস্ট ক্রিকেট থেকে ২০১৬ সালেই বিদায় নিয়েছেন। লর্ডসে শুক্রবার (৫ জুলাই) পাকিস্তানের বিশ্বকাপ মিশন শেষে ওয়ানডে ক্রিকেটকেও বিদায় বলে দিয়েছেন অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার শোয়েব মালিক।
চলতি বিশ্বকাপে সুযোগ পেয়েও বারবার ব্যর্থ হওয়ায় তাকে শেষ কয়েক ম্যাচে একাদশের বাইরে রাখা হয়। তার বদলে সুযোগ পেয়ে হারিস সোহেল বেশ ভালোই কাজে লাগিয়েছেন। বেশ কিছু কার্যকর ইনিংসও এসেছে তার ব্যাট থেকে।
অবসর প্রসঙ্গে শোয়েব বলেন, ‘আমার কোনো আক্ষেপ নেই। কিন্তু আমি ব্যাটিং অর্ডারে একটু বেশিই খাপ খাইয়ে নিয়েছিলাম। দল যেখানে চেয়েছে আমি সেখানেই ব্যাটিং করেছি। আম দল থেকে বহুবার বাদ পড়েছি, আমি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে কয়েক বছর বাইরেও ছিলাম। আমি প্রায় ২০ বছর খেলেছি। তবে এখানে (বিশ্বকাপে) মাত্র দুই ম্যাচ দেখে আমাকে বাদ দেওয়ায় আমি কিছুটা হতাশ।‘
বিশ্বকাপ চলাকালীন শোয়েব মালিককে কড়া সমালোচনার মুখে পড়তে হয়। বিশেষ করে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচের আগে স্ত্রী সানিয়া মির্জা ও দলের কয়েকজনকে নিয়ে তার ডিনারে অংশ নেওয়া নিয়ে তাকে ব্যক্তিগত আক্রমণের মুখেও পড়তে হয়েছে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে ওই ঘটনা সামনে এসেছে যখন তিনি ভারতের বিপক্ষে ডাক মেরেছেন তার পরেই। এরপর দলে জায়গাও হারিয়েছেন।
পাকিস্তানের জার্সিতে ২৮৭টি ওয়ানডে ম্যাচ খেলে ৭ হাজার ৫৩৪ রান করেছেন মালিক, গড় ৩৪.৫৫। তবে এবারের বিশ্বকাপ তিনি ভুলেই থাকতে চাইবেন। কারণ, এবার ৩ ম্যাচে সুযোগ পেয়ে দুই ডাকসহ তার রান মাত্র ৮। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অবশ্য ১টি উইকেট পেয়েছিলেন।
ক্যারিয়ারে ৩৫টি টেস্ট ও ১১১টি টি-টোয়েন্টি খেলার অভিজ্ঞতাসম্পন্ন মালিক ছিলেন বিংশ শতাব্দীতে (১৯৯৯) অভিষিক্ত হওয়া মাত্র দ্বিতীয় খেলোয়াড় যিনি খেলা চালিয়ে যাচ্ছেন। দ্বিতীয়জন হলেন উইন্ডিজ তারকা ক্রিস গেইল।
টুইটারে নিজের অবসরের ঘোষণা দিয়ে মালিক নিজের ভবিষ্যত পরিকল্পনার কথাও জানিয়ে দিয়েছেন। আপাতত তিনি পরিবারের সঙ্গে সময় ব্যয় করবেন। এরপর টি-টোয়েন্টিতে মনোনিবেশ করাই লক্ষ্য তার।