মঠবাড়িয়া (পিরোজপুর) প্রতিনিধিঃ পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় পৃথক দুটি ধর্ষণ মামলায় মনির মল্লিক (৪৪) ও মোস্তফা ফৈইরাদী (৬০) নামে দুই আসামি গ্রেপ্তার করেছে মঠবাড়িয়া থানা পুলিশ। আটককৃত মনির মল্লিক উপজেলার গুলিসাখালী গ্রামের মৃত. রুপাই মল্লিকের ছেলে ও মোস্তফা গোলবুনিয়া গ্রামের মৃত. আজিজ ফৈইরাদীর ছেলে।
মামলার বরাত দিয়ে মঠবাড়িয়া থানার ওসি মুহা. নূরুল ইসলাম বাদল জানান, বাগেরহাট জেলার নবম শ্রেনীতে পড়ুয়া স্কুল ছাত্রীর মা-বাবার বিচ্ছেদের পর ওই ছাত্রীর মায়ের উপজেলার খেজুরবাড়িয়া গ্রামে দ্বিতীয় বিয়ে হয়।
সেই সুবাদে ওই কিশোরী প্রায় সময়ই মায়ের কাছে বেড়াতে আসে। এদিকে ওই সৎ বাবার পূর্ব পরিচিত হিসেবে মনির মল্লিক খেজুরবাড়িয়ার ওই বাড়িতে আসা-যাওয়া করতো এবং বিভিন্ন সময় কিশোরীকে বিয়ের প্রলোভন দেয়ার পাশাপশি উত্যক্ত করতো। প্রায় এক মাস ধরে ওই কিশোরীকে বিয়ের প্রলোভনে বিভিন্ন সময় ধর্ষণ করে।
ঘটনাটি জানাজানি হলে মনির মল্লিক কিশোরীকে বিয়ে করতে অস্বীকার করে। এ ঘটনায় ওই কিশোরীর মা শুক্রবার (২২ জুলাই) মঠবাড়িয়া থানায় একটি মামলা করলে এস আই মিজানুর রহমান খেজুরবাড়িয়া গ্রামে থেকে মনির মল্লিককে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারকৃত মনির মল্লিককে শনিবার (২৩ জুলাই) আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। সোপর্দ করা হয়েছে।
ওসি আরো বলেন, গত ১৮ জুলাই সোমবার রাতে গোলবুনিয়া গ্রামের মোস্তফা ফৈইরাদীর প্রতিবেশী ছোট ভাইয়ের বিধবা স্ত্রীর মোবাইলে তার সতীতেন মেয়ে কল দেয়। ঘরের দরজা খোলা রেখে মোবাইলটি নিয়ে সতীনের কাছে যায়।
এ সুযোগে মোস্তফা ফৈইরাদী ওই বিধবার ঘরে উঠে খাটের নিয়ে পালিয়ে থাকে। পরে রাত সাড়ে ১১ টার দিকে মোস্তফা ফৈইরাদী তাকে ধর্ষণ করে। একপর্যায়ে চিৎকার করলে গ্রামবাসি ছুটে মোস্তফা ফৈইরাদীকে গণ ধোলাই দেয়।
এদিকে এ ঘটনায় ওই বিধবা নারী গত ২০ জুলাই বুধাবার মঠবাড়িয়া থানায় মামলা করলে হাসপাতাল থেকে মোস্তফা ফৈইরাদীকে মঠবাড়িয়া থানার এসআই সোহেল গ্রেপ্তার করে। বৃহস্পতিবার (২১ জুলাই) গ্রেপ্তারকৃতকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।