32 C
Dhaka
এপ্রিল ২৩, ২০২৫
Bangla Online News Banglarmukh24.com
আন্তর্জাতিক

মার্কিন ডলার এত শক্তিশালী কেন?

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ মার্কিনিদের জন্য ইউরোপ ভ্রমণের এখন দারুণ সময়। চলতি মাসের শুরুর দিকে গত দুই দশকের মধ্যে প্রথমবারের মতো মার্কিন ডলারের সঙ্গে সমতা হারায় ইউরো। তবে মার্কিনিদের কেবল ইউরোপ ভ্রমণেই সীমাবদ্ধ থাকার প্রয়োজন নেই। কারণ ইদানিং বিশ্বের প্রায় সর্বত্রই তাদের জন্য সস্তা হয়ে উঠেছে। এ বছর ইয়েনের বিপরীতে ১৫ শতাংশ, পাউন্ডের বিপরীতে ১০ শতাংশ এবং ইউয়ানের বিপরীতে পাঁচ শতাংশ মূল্যমান বেড়েছে ডলারের। কিন্তু কেন?

২০২১ সালের প্রথম দিকে এক ঝাঁক মুদ্রার বিপরীতে মার্কিন ডলারের মান নেমে গিয়েছিল পাঁচ বছরেরও বেশি সময়ের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ের কাছাকাছি। মহামারির অনিশ্চয়তায় ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল সেটি। তবে জীবনযাত্রা স্বাভাবিক অবস্থায় ফেরার সঙ্গে সঙ্গে সুদিন ফেরে ডলারেরও। কিন্তু এর মান যে এত বেশি বাড়বে, তা আশা করেননি বেশিরভাগ বিশ্লেষক। গত বছরের জুনের তুলনায় বর্তমানে বিভিন্ন মুদ্রার বিপরীতে ডলারের দর প্রায় ২০ শতাংশ বেড়েছে, যা ২০০২ সালের পর থেকে সর্বোচ্চ।

এর অন্যতম প্রধান কারণ যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকের কঠোর পদক্ষেপ। মূল্যস্ফীতির লাগাম টানতে গত মার্চ থেকে সুদের হার ১ দশমিক ৫ শতাংশ পয়েন্ট বাড়িয়েছে তারা। বিনিয়োগকারীরা মনে করেন, বছর শেষ হওয়ার আগে আরও দুই শতাংশ পয়েন্ট সুদের হার বাড়াবে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ১৯৮০-এর দশকের পর থেকে এত দ্রুত সুদের হার আর বাড়ায়নি দেশটি।

সুদের হার হলো বিনিময় হারের একটি গুরুত্বপূর্ণ নির্ধারক। উচ্চ সুদের হারযুক্ত কোনো দেশের একটি শক্তিশালী মুদ্রা থাকা উচিত। কারণ সেই দেশের সম্পদগুলো তখন উচ্চ হারে মুনাফা দেয়, যা আরও বেশি মূলধন প্রবাহকে আকর্ষণ করে। এ কারণেই মূলত ইউরো ও ইয়েনের বিপরীতে এত ভালো ফল করেছে ডলার। ফেডারেল ব্যাংকের তুলনায় ইউরোপীয় সেন্ট্রাল ব্যাংক (ইসিবি) ও ব্যাংক অব জাপান (বিওজে) অনেক বেশি নমনীয়। এ সপ্তাহে ইসিবি হয়তো সুদ বাড়ানোর পদক্ষেপ শুরু করতে পারে, কিন্তু বিওজে এখনো নেতিবাচক সুদের হার শক্তভাবে ধরে রেখেছে।

নীতির এই বৈসাদৃশ্য অর্থনীতির মৌলিক বিষয়গুলোর গভীর পার্থক্যকে প্রতিফলিত করে। কয়েক বছর ধরে জাপানের সমস্যা হলো মূল্য সংকোচন। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে সেখানে পণ্যের দাম সামান্য বেড়েছে। তবে ইউরো জোনে মূল্যস্ফীতি প্রায় আমেরিকার মতোই বেশি। কিন্তু তাদের দুশ্চিন্তা রয়েছে প্রাকৃতিক গ্যাসের ঊর্ধ্বগতি নিয়ে। সেখানে সুদের হার বাড়ানো জ্বালানি খরচ তো কমাবেই না, বরং তা মন্দার আশঙ্কা বৃদ্ধি করবে।

যুক্তরাষ্ট্রে মহামারি চলাকালীন অত্যাধিক চাহিদা ও আর্থিক প্রণোদনা মূল্যস্ফীতি বাড়াতে বড় ভূমিকা রেখেছে বলে ধারণা করা হয়। আগের বছরের তুলনায় গত জুন মাসে যুক্তরাষ্ট্রে মূল মূল্যস্ফীতি (পরিবর্তনশীল খাদ্য ও জ্বালানি ব্যয় বাদে) ছিল ৫ দশমিক ৯ শতাংশ, কিন্তু ইউরোপে ছিল মাত্র ৩ দশমিক ৭ শতাংশ।

সম্পর্কিত পোস্ট

দিল্লির ঘরে ঘরে জ্বর!

banglarmukh official

পাকিস্তানে ট্রেনে জিম্মি দেড় শতাধিক যাত্রী উদ্ধার, ২৭ সন্ত্রাসী নিহত

banglarmukh official

পাকিস্তানে যাত্রীবাহী ট্রেন হাইজ্যাক, জিম্মি শতাধিক

banglarmukh official

আইসিইউ থেকে পালালেন ‘কোমা’য় থাকা রোগী, হাসপাতালের ভয়ঙ্কর জালিয়াতি ফাঁস

banglarmukh official

গাজা দখলের যে কোনো প্রচেষ্টা প্রতিহত করতে হবে: তুরস্ক

banglarmukh official

মালয়েশিয়ায় বিনোদন কেন্দ্র থেকে বাংলাদেশিসহ আটক ৮০

banglarmukh official