পূজার যে স্থানে থাকার কথা লক্ষ্মী, দুর্গা, গণেশ কিংবা গোপালের মূর্তি। সেখানে স্থান পেয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। অদ্ভুদ এই পূজায় মেতেছেন ভারতের তেলেঙ্গার বুসা কৃষ্ণ নামে এক যুবক। ট্রাম্পকে ‘ঈশ্বর’ মনে করে দুই বেলা এই পূজা করে আসছেন তিনি।
ভারতের তেলেঙ্গানার জনগাঁও জেলার কন্নে গ্রামে এই কৃষকের বাড়ি। ঠাকুরঘরের সিংহাসনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের ছবি রেখে সকাল-সন্ধ্যা পূজা করেন তিনি।
আমেরিকা প্রবাসী ভারতীয় সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার শ্রীনিবাস কুচিভোটলা ২০১৭-র ফেব্রুয়ারিতে খুন হওয়ার পর থেকেই ট্রাম্পের পূজা শুরু করেন ৩১ বছর বয়সী এই যুবক।
তার ওপর এ ঘটনার পর তিনি মনে করেন, ভালোবাসা দিয়েই জয় করা যায় সব হিংসাকে। বুসার দাবি, ভারতীয় সংস্কৃতি, ভারতীয়দের অহিংস নীতিতে ভর করেই ট্রাম্পকে তার সিংহাসনে ঠাঁই দিয়েছেন তিনি।
দুই বেলা ট্রাম্পের ছবির সামনে রীতিমতো ঘণ্টা নাড়িয়ে আরতি, মন্ত্রপাঠ করেন এই যুবক। বিশ্বাস, তার আরাধ্য দেবতা দূরে থেকেও এসব টের পান। শুধু তা-ই নয়, এতে তুষ্টও নাকি হন তিনি! তার ‘ভগবান’কে ভারতীয় সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচয় করাতে এ উপায়ই বার করেছেন বুসা।
নিজের ফেসবুকে রোজ ট্রাম্পকে পূজার ছবি পোস্ট করেন বুসা।
জানা যায়, হিন্দু দেব-দেবীর সাথে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে বসিয়ে পূজা করেন বুসা। একেবারে হিন্দু ধর্মের সব রীতি নীতি ঠিক রেখেই এই পূজা সারেন তিনি। কিন্তু কেন বুসা ট্রাম্পকে পূজা করেন? হিন্দুরা সাধারণত সর্বশক্তিমান ভগবানকে পূজা করে।
এই পূজার সম্পর্কে বুসা বলেন, কিছুদিন আগেই জাতিগত হিংসার জেরে খুন হন ভারতীয় এক আইটি কর্মী। সেই থেকে শুরু। বুসা বলেন, হিংসা নয়, ভালবাসা দিয়েই সব কিছু আদায় করা যায়। আর ভারতীয়দের শেষ কথা ভালবাসা।
এই কাজ করতে গিয়ে অনেকেই তাকে পাগল বলেছেন। তবে কারও কথা গায়ে মাখেননি বুসা।
বুসা বলেন, প্রেসিডেন্টের কাছে পৌঁছবে তার কথা। আর তিনি সংঘাত ছেড়ে ভালবাসার এক পৃথিবী উপহার দিবেন। সেখানে কোনো জাতীগত হিংসা-বিদ্বেষ থাকবে না।