33 C
Dhaka
এপ্রিল ২৪, ২০২৫
Bangla Online News Banglarmukh24.com
আদালতপাড়া জেলার সংবাদ নারী ও শিশু প্রশাসন

সাক্ষ্য দিতে এসে নুসরাতের মা অজ্ঞান হয়ে হাসপাতালে

সোনাগাজীর আলোচিত মাদরাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার মামলায় সাক্ষ্য দিতে এসে আদালতে অজ্ঞান হয়ে পড়েন মা শিরিনা আক্তার।

সাক্ষ্য ও জেরার শেষ পর্যায়ে এসে বুধবার বেলা আড়াইটার দিকে তিনি প্রথমে উত্তেজিত হয়ে কাঁপতে থাকেন। পরে অজ্ঞান হয়ে মেঝেতে লুটিয়ে পড়েন।

এসময় তাঁকে ফেনী ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

শিরিনা আক্তারের ছেলে মাহমুদুল হাসান নোমান ও মামলার বাদি পক্ষের আইনজীবি এম শাহজাহান সাজু জানান, বুধবার মামলার ১২ নম্বর সাক্ষী, নুসরাতের মা শিরিনা আক্তারের সাক্ষ্য ও জেরার ধার্য্য তারিখ ছিল। এদিন সকাল সোয়া ১১টায় তিনি সাক্ষ্য দেয়া শুরু করেন। সাড়ে ১২টার দিকে তাঁর সাক্ষ্য শেষ হলে তাঁকে জেরা করেন আসামী পক্ষের আইনজীবি গিয়াস উদ্দিন নান্নু, কামরুল হাসান, মাহফুজুল হক, ফরিদ উদ্দিন খান নয়ন, নুরুল ইসলাম ও আহসান কবির বেঙ্গলসহ কয়েকজন আইনজীবি। দুপর আড়াইটা পর্যন্ত একটানা জেরা চলছিল।

এক পর্যায়ে উত্তেজিত হয়ে কাঁপতে থাকেন শিরিনা। এসময় তিনি অজ্ঞান হয়ে মেঝেতে লুটিয়ে পড়েন।

অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁর ছেলে নোমান, বাদি পক্ষের আইনজীবি শাহজাহান সাজুসহ সেখানে থাকা কয়েকজন স্বজন তাঁকে বহন করে নীচে নিয়ে আসেন এবং সোনাগাজী থানা পুলিশ ও আদালত পুলিশের সহযোগিতায় আইনজীবির গাড়িযোগে ফেনী সদরের রাজাঝীর দিঘীর পাড়ের ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতালের ফেনী শাখার জরুরী বিভাগে নিয়ে যান। সেখানে তাঁকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়।

জরুরি বিভাগের চিকিৎসক আব্দুল্লাহ আল মামুন বুধবার বিকেলে বলেন, তিনি (শিরিনা) অজ্ঞান হয়ে পড়েছিলেন। অতিরিক্ত উত্তেজিত হবার ফলে এমনটা হতে পারে। তাঁকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। কিছু সময়ের মধ্যেই তাঁর জ্ঞান ফিরে আসে। তিনি সুস্থ আছেন।

চিকিৎসক বলেন, কয়েক ঘণ্টা পর্যবেক্ষণে রাখার পর তাঁর বিষয়ে পরামর্শ দেয়া হবে এবং অপরাপর বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সাথে পরামর্শক্রমে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত দেয়া হবে।

তিনি বলেন, ইচ্ছে করলে পরিবারের সদস্যরা তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নিতে পারেন। তবে তাঁর কয়েকদিনের বিশ্রাম প্রয়োজন বলে মতামত দেন ডা. আব্দুল্লাহ আল মামুন। সন্ধ্যায় এ প্রতিবেদন লেখার সময় শিরিনার ছেলে নোমান বলেন, মা কিছুটা ভালো আছেন। তবে আরো কিছু সময় তাঁকে হাসপাতালে থাকতে হবে। এ বিষয়ে পরে সিদ্ধান্ত হবে বলে জানান তিনি।

নুসরাতের পিতা এ কে এম মুসা স্ত্রীর অসুস্থ হবার খবর পেয়ে ফেনী হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতালে আসেন। তিনি বলেন, উনি গত কয়েকদিন ধরে অসুস্থ। ইতোমধ্যে তাঁকে ফেনীর শহীদ শহিদুল্লা কায়সার সড়কের আল কেমী হাসপাতালে দুইদিন রেখে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।

বাদি পক্ষের আইনজীবি শাহজাহান সাজু বলেন, উনি আগে থেকেই কিছুটা অসুস্থ ছিলেন। কথা বলতে কষ্ট হচ্ছিল। তাই বিচারক তাঁকে সাক্ষীর ডকে দাঁড় না করিয়ে নিজের কাছাকাছি একটি স্থানে বসান এবং অত্যন্ত যত্নের সাথে তাঁর সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।

কিন্তু আসামি পক্ষের আইনজীবিদের মধ্যে কয়েকজনের কিছু প্রশ্নে তিনি উত্তেজিত হয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন।

সম্পর্কিত পোস্ট

মাগুরায় ধর্ষণের শিকার সেই শিশু মারা গেছে

banglarmukh official

শিশু আছিয়ার জানাজায় অংশ নিতে মাগুরায় মামুনুল-হাসনাত-সারজিস

banglarmukh official

অটোরিকশায় ছাত্রীর সঙ্গে অশোভন আচরণ, ভিডিও ভাইরাল

banglarmukh official

এমবিবিএস-বিডিএস ডিগ্রি ছাড়া কেউ নামের আগে ডাক্তার লিখতে পারবে না

banglarmukh official

বগুড়ায় স্কুলছাত্রকে শ্বাসরোধ করে হত্যা

banglarmukh official

মাগুরায় ধর্ষণের শিকার শিশুটির সব ছবি অপসারণের নির্দেশ হাইকোর্টের

banglarmukh official