নিউজ ডেস্ক :
বরিশাল র্যাব-৮ এর অভিযানে চাঞ্চল্যকর সুরভী লঞ্চের যাত্রী গার্মেন্টস কর্মী মোসাঃ সারমিন হত্যার প্রধান আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ বিষয়ে আজ সকাল ১০টায় মিডিয়া ব্রিফিং করে বরিশাল র্যাব-৮ এর অধিনায়ক বিস্তারিত জানাবেন বলে প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানিয়েছেন। বরিশালর র্যাব-৮ এর মিডিয়া রুমে প্রেস ব্রিফিং করা হবে। প্রেস ব্রিফিংয়ে সকল সাংবাদিকদের উপস্থিত থাকার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, বরিশাল নদী বন্দরে নোঙ্গর করা এমভি সুরভী-৮ লঞ্চের নীচতলার স্টাফ কেবিন থেকে নারায়নগঞ্জের এক গার্মেন্টস কর্মীর মৃতদেহ উদ্ধার করেছিলো পুলিশ। সে নারায়নগঞ্জ জেলার সিদ্ধিরগঞ্জ থানার আদমজী নগরের আদমজী ইপিজেড এর অনন্ত অ্যাপেয়ারেল্স লিমিটেড এর একজন অপারেটর ও বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলার পাদ্রিশিবপুরের বড়পুইয়াউটা এলাকার বজলু বেপারীর মেয়ে আখি আক্তার (২৯)।
নিহত গার্মেন্টস কর্মীর বাবা বজলু বেপারী জানিয়েছিলেন, আখির সাথে আদমজী নগরের মিজান নামের এক ছেলের সাথে বিয়ে হয়। তাদের সংসারে ২ বছরের এক কন্যা সন্তানও রয়েছে। তবে উভয়ের সম্পর্কের টানা-পোড়ানের কারণে সেই সন্তান নানা বাড়ি বাকেরগঞ্জেই থাকেন। গ্রামের বাড়িতে ভোটার কার্ডের কাজের জন্য আসার কথা ছিলো মেয়ে আখি আক্তারের। শুক্রবার দিবাগত রাতে সুরভী- ৮ লঞ্চে করে ঢাকার সদরঘাট থেকে আখি বরিশালের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন। ওইসময় সে একাই থাকার বিষয়টি তিনি জানতেন। লঞ্চে ওঠার সময় একবার কথা হলেও পরবর্তীতে আর কথা হয়নি। সকালে সে যথাসময়ে বাড়িতে না পৌছালে এবং মোবাইল বন্ধ পাওয়া গেলে আখির সন্ধানে নামেন স্বজনরা। এরপর বরিশাল লঞ্চঘাটে এসে খোজ নিয়ে জানতে পারেন লঞ্চের স্টাফ কেবিন থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
সুরভী-৮ লঞ্চের সুপারভাইজার মেজবাহ উদ্দিন জানিয়েছিলেন, শুক্রবার রাতে ঢাকা থেকে বরিশালের উদ্দেশ্যে সুরভী-৮ লঞ্চের নীচতলার স্টাফ (লস্কর) কেবিনে ওঠে আখি আক্তার। এসময় তার সঙ্গি ছিলো এক যুবক। রাতে ওই যুবক দুজনের জন দুটি ডেক টিকিটও সংগ্রহ করেন। কিন্তু শনিবার সকালে লঞ্চ পৌছালে স্টাফরা ওই কেবিনে গিয়ে আখিকে মৃত পরে থাকতে দেখেন। পাশাপাশি তার সঙ্গী ওই যুবকের সন্ধান লঞ্চে না পেয়ে বিষয়টি থানা পুলিশকে অবহিত করে। পরে থানা পুলিশ এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে এবং স্বজনদের খবর দিলে তারা এসে মরদেহ সনাক্ত করে।
এ বিষয়ে কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরুল ইসলাম জনিয়েছিলেন, প্রাথমিকভাবে সুরতহাল প্রতিবেদন করতে গিয়ে আখি আক্তার নামে ওই গার্মেন্টস কর্মীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে বলে আলমত পাওয়া গেছে। তবে ধর্ষনের কোন আলামত পাওয়া না গেলেও মেডিকেল পরীক্ষা ও ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে এ বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যাবে। আখি আক্তারের সাথে থাকা অজ্ঞাত পরিচয়ের যুবকের বিষয়ে খোজ-খবর নেয়া হচ্ছে, লঞ্চের সিসি টিভি ক্যামেরার ফুটেজ সরবরাহ করা হয়েছে। আশাকরি দ্রুত ওই যুবকের আইনের আওতায় আনা যাবে। পাশাপাশি তাকে গ্রেফতার করা হলেই আখির মৃত্যুর রহস্য উম্মোচন হবে বলে আশা প্রকাশ করেছিলেন ওসি।