ইংল্যান্ডের স্বপ্ন গুঁড়িয়ে নিজেদের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের ফাইনালে ওঠার যোগ্যতা অর্জন করেছে ক্রোয়েশিয়া। মস্কোর লুজনিকি স্টেডিয়ামে বুধবার রাতে রাশিয়া বিশ্বকাপের দ্বিতীয় সেমি-ফাইনালে ২-১ গোলে হেরেছে ইংলিশরা। ফলে ‘ইটস কামিং হোম’ (ট্রফি ঘরে ফিরে আসছে) স্লোগানে বিশ্বকাপ মিশন শুরু করলেও ফাইনালের মঞ্চে নামতেই পারলো না ইংল্যান্ড।
২৮ বছর পর বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে পৌঁছেও স্বপ্নভঙ্গ হওয়ার বেদনা ভীষণ পোড়াচ্ছে ইংলিশ অধিনায়ক হ্যারি কেইনকে। ম্যাচ শেষে সংবাদমাধ্যমকে এ স্ট্রাইকার বলেন, ‘এটা মেনে নেওয়া কঠিন, হারের বেদনায় মুষড়ে পড়েছি, হৃদয় ভেঙে গেছে আমাদের। তবে ভক্তরা যে সমর্থন দিয়ে গেছেন, তা আমাদের অভিভূত করেছে।’
কিরান ট্রিপিয়ারের দুর্দান্ত ফ্রি-কিকে ম্যাচের শুরুতেই এগিয়ে গিয়েছিল ইংল্যান্ড। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে ইভান পেরিসিচের গোলে সমতায় ফেরে ক্রোয়েশিয়া। আর অতিরিক্ত সময়ে ক্রোয়েশিয়ার একমাত্র ফরোয়ার্ড মারিও মানজুকিচের গোলে স্বপ্নভেঙ হয় ইংল্যান্ডের।
ইংলিশ অধিনায়ক বলেন, ‘অতিরিক্ত সময় মিলিয়ে মোট ১২০ মিনিটের খেলায় ৫০:৫০ প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়েছে। আমরা ম্যাচের দিকে ফিরে তাকালে বুঝবো, আরও কিছু ভালো করতে পারতাম আমরা। এটা এখন কষ্ট দিচ্ছে, অনেক কষ্ট।’
তবে গ্রুপ পর্ব, নকআউট পর্ব এবং কোয়ার্টার ফাইনাল থেকেই অনেক বড় বড় দল ছিটকে পড়লেও ইংল্যান্ড সেমিফাইনাল পর্যন্ত পৌঁছানোয় গর্বিত আসরের সর্বোচ্চ গোলদাতা কেইন।
এখন শনিবার (১৪ জুলাই) সেন্ট পিটার্সবার্গে বেলজিয়ামের সঙ্গে তৃতীয় স্থানের লড়াইয়ে নামতে হবে ইংলিশদের। আর তার পরদিন ১৫ জুলাই লুঝনিকিতে গড়াবে ফাইনাল। সেখানে লড়বে ১৯৯৮ বিশ্বকাপজয়ী ফ্রান্স ও একই আসরের সেমিফাইনালিস্ট ক্রোয়েশিয়া।