বাজারে বিদ্যমান ১৪ কোম্পানির পাস্তুরিত দুধ উৎপাদন ও বিক্রি পাঁচ সপ্তাহ বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। রোববার (২৮ জুলাই) বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
বিএসটিআই অনুমোদিত এসব কোম্পানির দুধে সীসা ও অ্যান্টিবায়োটিকের উপাদান পাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে এই আদেশ দেন হাইকোর্ট।
এসব দুধ পরীক্ষা করে চার প্রতিষ্ঠানের প্রতিবেদন দাখিলের পর আদেশ দেন আদালত। এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানির জন্য ২৫ আগস্ট পরবর্তী দিন ধার্য করা হয়।
গত ১৪ জুলাই বিএসটিআই অনুমোদিত বাজারে থাকা বিভিন্ন কোম্পানির পাস্তুরিত (প্যাকেটজাত) সব দুধের নমুনা সংগ্রহ করে অ্যান্টিবায়োটিকসহ ক্ষতিকর কোনো উপাদান আছে কি না- তা চার প্রতিষ্ঠানকে পরীক্ষার নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। এসব প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের নিয়ে বিএসটিআইকে বাজার থেকে দুধের নমুনা সংগ্রহ করতে বলে হাইকোর্ট।
এক রিট আবেদনের শুনানিতে দুধে ডিটারজেন্ট ও অ্যান্টিবায়োটিক, কেমিক্যাল এবং ব্যাকটেরিয়ার পাশাপাশি অন্য কোনো ক্ষতিকর উপাদান আছে কি না সে বিষয় চার প্রতিষ্ঠানকে নির্দেশ দেন আদালত।
এ প্রতিষ্ঠান চারটি হলো- আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র বাংলাদেশ (আইসিডিডিআরবি), লাইভ স্টক অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউট, বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদ (বিসিএসআইআর) ও ন্যাশনাল ফুড সেফটি ল্যাবরেটরি (নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ)।
পণ্যের মান নিয়ন্ত্রণকারী সরকারি সংস্থা বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশনের (বিএসটিআই) অনুমোদন পাওয়া পাস্তুরিত দুধ পৃথক চারটি সংস্থার ল্যাবে পরীক্ষা করে ওই সব প্রতিষ্ঠানের একজন করে প্রতিনিধির উপস্থিতিতে পৃথক পৃথক ভাবে এর প্রতিবেদন দাখিল করতে বলেন হাইকোর্ট।
বিএসটিআই অনুমোদিত পাস্তুরিত দুধে অ্যান্টিবায়োটিক, ডিটারজেন্ট, ফরমালিন, ব্যাকটেরিয়া, কলিফর্ম, অ্যাসিডিটি, স্টাইফলোকাস্টেস ও ফরমালিন আছে কি না- তা পরীক্ষা করে চারটি গবেষণাগারকে এক সপ্তাহের মধ্যে আলাদাভাবে প্রতিবেদন দিতে বলেছিলেন আদালত।
প্রতিবেদন দাখিলের নির্ধারিত দিন রোববার দুধে সীসা ও অ্যান্টিবায়োটিকের উপাদান পাওয়ায় ১৪ কোম্পানির দুধ উৎপাদন ও বিক্রি ৫ সপ্তাহ বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।