ঈদযাত্রায় ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে ১ জুলাই থেকে। ১ জুলাই দেওয়া হয়েছে ৫ জুলাইয়ের এবং ২ জুলাই দেওয়া হয়েছে ৬ জুলাইয়ের টিকিট। আগামীকাল ৩ জুলাই দেওয়া হবে ৭ জুলাইয়ের টিকিট। সেই টিকিট পেতে শুক্রবার রাত থেকেই লাইনে দাঁড়িয়েছেন অনেকে। ৭ জুলাইয়ের টিকিট পেতে দুইরাত ধরে স্টেশনে অপেক্ষা করছেন তারা।
শনিবার (২ জুন) রাত ১০টায় রাজধানীর কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে গিয়ে এ চিত্র দেখা গেছে।
ঈদযাত্রায় ট্রেনের অগ্রিম টিকিট কাটতে রাজধানীসহ ঢাকার আশপাশের বিভিন্ন এলাকা থেকে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে এসে লাইনে দাঁড়িয়েছেন টিকিটপ্রত্যাশীরা। আগামীকাল সকালে যে টিকিট দেওয়া হবে তা পেতে কাউন্টারে লাইনে দাঁড়িয়ে রয়েছেন তারা।
রাজধানীর শ্যামপুর থেকে আসা মো. আব্দুর রহমান শনিবার রাতে বলেন, গতকাল রাত ১১টায় এসে লাইনে দাঁড়িয়েছি। ঈদের ছুটিতে বগুড়ায় যাবো ঈদ করতে। আমার স্ত্রী বাসে চড়তে পারে না তাই বাধ্য হয়েই ট্রেনের টিকিট কাটতে হয়।
নারায়ণগঞ্জ থেকে আসা আল আমিন কে বলেন, গতকাল ট্রেনের টিকিট কাটতে আসলাম। কিন্তু ট্রেনের টিকেট পাই নাই, আগেই শেষ হয়ে গেছে। ৭ তারিখে সব অফিস ছুটি। সেদিনের টিকিট যেন মিস না হয়, তাই লাইনে দাঁড়িয়ে আছি। বাসে রাস্তায় প্রচুর জ্যাম থাকে। ট্রেনে গেলে একটু আরাম পাওয়া যায়।
ষাট বছর বয়সী মো. আশরাফুল ইসলাম বলেন, ছেলে চাকরি করে। তাই ভোরবেলা এসে আমিই লাইনে দাঁড়িয়েছি। টিকিট পাওয়া খুবই কষ্ট। ছেলে ও ছেলের বউকে নিয়ে গ্রামে ঈদ করতে যাবো।
নারায়ণগঞ্জ থেকে আসা মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন বলেন, সকালে এসে লাইনে দাঁড়িয়েছি। গাইবান্ধায় যাবো ঈদ করতে। দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে টিকিটের জন্য অপেক্ষা করতে হচ্ছে।
রেল মন্ত্রণালয়ের ঘোষণা অনুযায়ী, ৩ জুলাই দেওয়া হবে ৭ জুলাইয়ের টিকিট, ৪ জুলাই দেওয়া হবে ৮ জুলাইয়ের টিকিট এবং ৫ জুলাই দেওয়া হবে ৯ জুলাইয়ের ট্রেনের টিকিট।
এছাড়া ফিরতি টিকিট বিক্রি শুরু হবে ৭ জুলাই থেকে। সেদিন ১১ জুলাইয়ের টিকিট বিক্রি হবে। ৮ জুলাই ১২ জুলাইয়ের টিকিট, ৯ জুলাই দেওয়া হবে ১৩ জুলাইয়ের টিকিট, ১১ জুলাই ১৪ এবং ১৫ জুলাইয়ের টিকিট বিক্রি হবে।