ক্রিকেটকে জন্ম দিলেও এর অমরত্বের ছোঁয়া থেকে এতোদিন বঞ্চিত ছিল ইংল্যান্ড। ১২টি আসর ও ৪৪ বছরের অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে বিশ্বকাপ নামক সেই সোনালি ট্রফিটির স্পর্শ পেয়েছে ইংলিশরা। গতকাল (রোববার) রুদ্ধশাস এক ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে নাটকীয় জয় তুলে নিয়ে প্রথমবারের মতো ওয়ানডে ক্রিকেটে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে তারা।
খেলোয়াড়দের পাশাপাশি দেশের মানুষদের সেই গৌরবের অংশীদার করতে আজ (সোমবার) দ্য ওভালে বিজয় প্যারেডের আয়োজন করে ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড। এতে ট্রফি নিয়ে ইয়ন মরগ্যানের নেতৃত্বে সমর্থকদের সঙ্গে উদাযাপন করতে আসেন ইংলিশ খেলোয়াড়রা। কথা বলা, ছবি তোলার পাশাপাশি একসঙ্গে নেচে গেয়ে মেতে ওঠেন তারা।
এরই ফাঁকে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন ফাইনালে সুপার ওভারে ইংল্যান্ডের হয়ে দুর্দান্ত বল করা জোফরা আর্চার। তিনি বলেন, ‘সকাল বেলা খেলার হাইলাইটস এবং স্টাফদের সঙ্গে দেখা-সাক্ষাৎ করার পর আমি মনে করি, গতকাল যা করেছি তার প্রভাবটা এখন বুঝতে পারছি আমরা। বড় একটা দিন ছিল কাল। সবাই চাইছিল আমি যেন ভালো করি। তাই আমি কাউকে নিচু করতে চাইনি। ছক্কা খাওয়ার কিছুটা চাপে পড়ে গিয়েছিলাম; কিন্তু আমি আমার পরিকল্পনা নিয়ে অনড় ছিলাম এবং শেষ পর্যন্ত এটাই কাজে দিয়েছে।’
আর্চারের পাশপাশি কথা বলেন জো রুটও। গতকালকের ম্যাচটিকে সর্বকালের সেরা ম্যাচ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘সম্ভবত ক্রিকেটের অন্যতম সেরা একটি ম্যাচে ছিল এটি। আর এর ভাগিদার ছিলাম আমরা। আমি মনে করি না, গতকাল যা ঘটেছে তাতে আপনি চূড়ায় উঠতে পারবেন। তবে আমার মতে এটা সর্বকালের সেরা ম্যাচ।’
এমন পারফরমেন্সে দলকে অভিনন্দন জানাতে বাদ যাননি যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে। তিনি বলেন, ‘গতকাল অসাধারণ একটি দল অসাধরণ পারফরমেন্স দেখিয়েছে। বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হতে তারা বিচারবুদ্ধি এবং সাহসের প্রদর্শন দেখিয়েছে। ঘরের মাটিতে রোমাঞ্চকর ভাবে যে অর্জন করেছে তারা, তা ক্রীড়া ইতিহাসে অমর হয়ে থাকবে।’
সমর্থকদের সঙ্গে জয় উদযাপন করেই বসে থাকছে না ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড। খেলোয়াড়দের বীরের মতো সংবর্ধনা দিতে ডাইনিং স্ট্রিটে মঞ্চ প্রস্তুত করছে তারা। স্থানীয় সময় সাতটা বাজে শুরু হবে এই আয়োজন।