পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে কোরবানির পশু কেনাকাটা, ব্যবসা-বাণিজ্যের পাশাপাশি বাড়ছে নগদ অর্থের লেনদেন ও স্থানান্তর। ঈদকেন্দ্রিক চুরি, ছিনতাইসহ মলম পার্টি ও অজ্ঞান পার্টির অপতৎপরতাও বৃদ্ধি পায়। এ অবস্থায় বড় অংকের অর্থ উত্তোলন বা বহনের ক্ষেত্রে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে মানি এসকর্ট সেবা দিচ্ছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।বৃহস্পতিবার (৭ জুলাই) এক বার্তায় ডিএমপি জানায়, একটু অসতর্কতার জন্য কষ্টে উপার্জিত অর্থ ছিনিয়ে নিতে পারে দুষ্কৃতকারীরা। সিসি ক্যামেরা আছে এমন ব্যাংকের সঙ্গে লেনদেন, ট্রাফিক সিগন্যাল বা জ্যামে অতিরিক্ত সতর্কতাসহ অর্থ বহন ও উত্তোলনে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।বিজ্ঞাপনডিএমপির ১৫ পরামর্শ১. বড় অংকের অর্থ একা বহন করবেন না। সঙ্গে অতিরিক্ত একাধিক বিশ্বস্ত ব্যক্তি রাখুন। অর্থ বহন সংক্রান্ত কোনো তথ্য আগেই অন্যকে জানানো থেকে বিরত থাকুন।বিজ্ঞাপন২. পায়ে হেঁটে অথবা রিকশায় অর্থ বহনের পরিবর্তে মোটরসাইকেল কিংবা গাড়িতে অর্থ বহন করুন।৩. নগদ অর্থ বহনের আগে নিশ্চিত হতে হবে যেন দোকান বা ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের কেউ দুষ্কৃতকারীদের না জানিয়ে দেয়।বিজ্ঞাপন৪. দৈনিক নগদ অর্থ বহনের প্রয়োজন হলে মাঝে মাঝে ভিন্নপথ ব্যবহার করুন, যেন দুষ্কৃতকারীরা আগেই ওঁৎপেতে থাকার সুবিধা নিতে না পারে।৫. অর্থ বহনের সময় ব্যাগ এমনভাবে ব্যবহার করতে হবে যেন বাইরে থেকে বোঝা না যায়। এতে দুষ্কৃতকারীরা প্রলুব্ধ হওয়ার সুযোগ পাবে না।৬. বড় নোট ব্যবহারে সচেষ্ট থাকতে হবে।৭. সব টাকা একসঙ্গে না রেখে বিভিন্ন জায়গায় যেমন- পকেটে, ব্যাগে, সঙ্গে থাকা ব্যক্তির কাছে ভাগ ভাগ করে রাখুন।৮. গলিপথ কিংবা নির্জনপথ ব্যবহারের পরিবর্তে অপেক্ষাকৃত ব্যস্ত সড়ক ব্যবহার করতে হবে।৯. ট্রাফিক সিগন্যাল বা জ্যামে পড়লে অতিরিক্ত সতর্ক থাকুন।১০. সিসি ক্যামেরা আছে এমন ব্যাংকের সঙ্গে লেনদেন করতে হবে। ব্যাংক থেকে বের হওয়ার পর বুঝতে চেষ্টা করুন সন্দেহজনক কেউ অনুসরণ করছে কি না।১১. বড় অংকের অর্থ পরিবহনের কাজটি রাতে না করে দিনে করার চেষ্টা করতে হবে।১২. এটিএম বুথে টাকা তুলতে গেলে বুথের ভেতরে কেউ আছে কি না নিশ্চিত হয়ে নিতে হবে। কেউ থাকলে বের হওয়ার পর বুথে প্রবেশ করুন।১৩. এটিএম বুথের অভ্যন্তরে আর্থিক লেনদেনে ব্যবহৃত পিন নম্বরটি ব্যবহারের ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে।১৪. সম্ভব হলে এক ব্যাংক থেকে অন্য ব্যাংকে টাকা ট্রান্সফারের কাজটি চেকের মাধ্যমে সম্পন্ন করা।১৫. বড় অংকের টাকা পরিবহনে প্রয়োজনে পুলিশ এসকর্ট ব্যবহার করা।যেভাবে পাওয়া যাবে ডিএমপির সহায়তাসহায়তাপ্রত্যাশী ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে সংশ্লিষ্ট থানা অথবা পুলিশ কন্ট্রোল রুমে যোগাযোগ করতে হবে। এক্ষেত্রে পুলিশ এসকর্টপ্রত্যাশী ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে যানবাহনের সংস্থান করবে। এজন্য কন্ট্রোল রুমের নম্বরগুলোতে যোগাযোগ করতে বলা হচ্ছে।কন্ট্রোল রুমের নাম্বার হলো: ৯৫৫১১৮৮, ৯৫১৪৪০০, ৫৫১০২৬৬৬, ০১৩২০০৩৭৮৪৫। এছাড়া জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ কল করেও সহায়তা পাওয়া যাবে।