নিউজ ডেস্কঃ দেশে বাড়ছেই ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় (রবিবার সকাল পর্যন্ত) সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ৬৫ জন। এছাড়া রাজধানীর সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি থেকে রবিবার পর্যন্ত চিকিৎসা নিয়েছে এক হাজার ৮৩৭ জন। এর মধ্যে মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রোগীর চাপ বেশি।
এখানে রবিবার পর্যন্ত ভর্তি হয়েছিল ৬৪৩ জন।
রবিবার ভর্তি থাকা রোগীর সংখ্যা ছিল ৪৩। এদিন ১০ জন নতুন ভর্তি হয় এবং ১০ জন হাসপাতাল ছেড়ে যায়। এই হাসপাতালে ভর্তি হওয়া বেশির ভাগ রোগীই আসে মুগদা, মান্ডা এবং এর আশপাশের এলাকা থেকে।
হাসপাতালের বিশ্লেষণে এ তথ্য পাওয়া গেছে। এখন পর্যন্ত মুগদা হাসপাতালে কোনও ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী মারা যায়নি বলেও জানা গেছে।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্য বলছে, গত বছরের এই সময়ের তুলনায় এবার রোগীর সংখ্যা বেশি। চিকিৎসকরা বলেন, রোগীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে।
তবে রোগের প্রভাব ততটা তীব্র নয়। গত বছরের মতো এবার রোগীদের রক্তে প্লাটিলেট খুব দ্রুত গতিতে কমছে না। ডেঙ্গু হেমোরেজিক ও ডেঙ্গু শক সিনড্রোম রোগী দেখা যায়নি।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্যানুযায়ী, শনিবার সকাল ৮টা থেকে রবিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ৬৫ রোগী ভর্তি হয়েছে। এর মধ্যে রাজধানীতে ভর্তি হয়েছে ৫৯ জন।
রবিবার দেশের সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে মোট ভর্তি রোগীর সংখ্যা ছিল ২৯৯। ঢাকার হাসপাতালগুলোতে ভর্তি ছিল ২৩৫ জন।
মুগদা হাসপাতালের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, ১ জুন থেকে গত দেড় মাসে মান্ডার অন্তত ১৮০ জন এবং মুগদার ১৫২ জন এই হাসপাতালে ভর্তি হয়। এ হিসাবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মনে করছে, এই দুই এলাকায় ডেঙ্গুর প্রকোপ বেশি।
চিকিৎসকরা বলেন, মুগদা ও মান্ডা বেশি ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা। জলাবদ্ধতা বেশি। খানাখন্দ ও নির্মাণাধীন ভবনগুলোতে পানি জমে থাকায় ডেঙ্গুর বাহক এডিস মশার বিস্তার বেশি হচ্ছে।