পারসোনাল প্রটেকটিভ ইকুইপমেন্ট (পিপিই) বা সুরক্ষা পোশাক পরে হাসপাতালে করোনা রোগীর গহনা চুরি করতে গিয়ে ধরা খেলেন চোর। তবে ওই চোর বাহিরের কেউ নয় হাসপাতালেরই এক চতুর্থ শ্রেণির কর্মী। ভারতের কোলকাতার একটি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত কর্মীকে আটক করে বউবাজার থানার পুলিশের হাতে তুলে দেয়া হয়। ওই হাসপাতালে মূলত করোনা রোগীদের চিকিৎসা হচ্ছে। ৩০ জুলাই, বৃহস্পতিবার বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। এমন খবর প্রকাশ করেছে ভারতের গণমাধ্যম সংবাদ প্রতিদিন।
পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার বিকেলে হাসপাতালটির একটি ওয়ার্ডে পিপিই পরে এক ব্যক্তি করোনা আক্রান্ত রোগীর কাছে আসেন। ওই রোগীকে তিনি বলে, তার আত্মীয়রা নিচে রয়েছেন। এখন তাদের সঙ্গে দেখা করা রোগীর পক্ষে সম্ভব নয়। তার সঙ্গে রোগীর আত্মীয়দের কথা হয়েছে। রোগীর কাছে থাকা সোনার চুড়ি বা হার নিয়ে চিন্তিত তার স্বজনরা। তারা ওই নারীকে বলেছেন, তার সোনার গয়নাগুলো খুলে তাকে দিতে। তিনি পরিবারের সদস্যদের কাছে ওই গহনাগুলো পৌঁছে দেবেন।
পুলিশ আরো জানায়, যেহেতু করোনা হাসপাতালে পিপিই পরে বাইরের কেউ আসবে না, তাই তাকে বিশ্বাস করে গহনা খুলতে শুরু করেন ওই রোগী। তখনই বিষয়টি সেখানে কর্তব্যরত এক নার্সের চোখে পড়ে। তিনি ওই বেডের দিকে এগিয়ে যান। চিৎকার করে অন্যদের সতর্ক করামাত্রই পিপিই পরা ওই ব্যক্তি দৌড় দেয়। দ্রুত নিচে নেমে পড়েন। তবে নিরাপত্তারক্ষী ও অন্যরা তাকে ধরে ফেলেন।
কিন্তু পিপিই খোলামাত্র দেখা যায়, ওই চোর হাসপাতালেরই চতুর্থ শ্রেণির ক্যাজুয়াল কর্মী। তাকে হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে গিয়ে বউবাজার থানায় খবর দেয়া হয়। রাতে পুলিশ এসে অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। এই ঘটনার পর হাসপাতালের নিরাপত্তা আরো কড়া করা হয়েছে বলেও জানায় পুলিশ।