ভারতের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন এবার মুখ খুললেন। তিনি বললেন, পিছনের দিকে হাঁটার নিরিখে ভারত এই মুহূর্তে অনেকটা এগিয়েছে। ২০১৪ থেকেই এই বিপজ্জনক অবনতি শুরু হয়ে বর্তমানেও সমান তালে চলছে। সম্প্রতি ভারতের দিল্লিতে নিজের বইয়ের হিন্দি সংস্করণ প্রকাশ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অমর্ত্য সেন। সেখানেই ভারতের পরিস্থিতি নিয়ে এই মত প্রকাশ করেন বিশ্বখ্যাত এই অর্থনীতিবিদ।
অমর্ত্য সেন’র মতে, ভারত-পাকিস্তান-বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা-নেপাল ও ভুটান এই রিজিয়নে আগে ভারত ছিল শ্রীলঙ্কার পরেই। অর্থাৎ সেরার নিরিখে দ্বিতীয় অবস্থানে। এখন এই ক্রম পুরো উল্টে গিছে। এখনও ভারত দ্বিতীয়। তবে সেটা তালিকার নিচের দিক থেকে। আর সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় রয়েছে পাকিস্তান।
কোন ভিত্তিতে এ কথা বলছেন তার ব্যাখ্যাও দেন তিনি। ভারতের সাম্প্রতিক বেশ কিছু ঘটনাবলী উঠে আসে তাঁর কথায়। উঠে আসে, দলিত নিগ্রহের কথা। কিছুদিন আগেই এক দলিত যুবককে পেট্রোল পাম্পে বেঁধে চাবুক মারা হয়। এদিকে নিজের হাতে যারা ম্যানহোলের ময়লা পরিষ্কার করে, সেই শ্রেণির মানুষরা ক্রমাগত উপেক্ষিত এবং অবহেলিত। অর্থাৎ বিশেষ কিছু দিকে যে দৃষ্টি দেওয়া হচ্ছে না, ক্রমাগত কিছু সূচকের নিরিখে ভারতকে পিছু হটতে হচ্ছে তাই-ই স্মরণ করিয়ে দেন তিনি।
আরও স্পষ্ট অমর্ত্য সেন বলেন, মোদি বনাম রাহুল দ্বন্দ্বের কথা তিনি বলছেন না। ভারত এবং তার স্বরূপ নিয়েই তিনি ভাবছেন এবং সেই কথাটিই তুলে ধরছেন।
তিনি আরো বলেন, ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের সময় কেউ কল্পনাও করেননি যে, শুধু হিন্দু পরিচিতির জেরে কোন নির্বাচন জেতা যায়। কিন্তু পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে আজ তাই-ই হচ্ছে। আজ ২০০০ কোটি রুপির বাজেট মানে ভারতের প্রত্যেক মানুষের জন্য বরাদ্দ ২০ রুপি। সুতরাং অর্থনীতি ও সামাজিক দিকে থেকে এই মুহূর্তে ভারতে যে বেশ কিছু সমস্যা আছে এবং সেদিক থেকে ক্রমাগত মুখ ঘুরিয়ে চলা হচ্ছে। সে কথাই আরও একবার স্নরণ করিয়ে দেন অমর্ত্য সেন।