করোনায় কুপোকাত সারা বিশ্ব। ভেঙ্গে পড়েছে বিশ্ব অর্থনীতি। তবে বিশ্বের একমাত্র দেশ চীন যার অর্থনীতি এগিয়ে যাচ্ছে সমান তালে। বিশ্বের ক্ষমতাসীন দেশগুলো ক্রমেই নির্ভর হয়ে পড়ছে চীনের অর্থনীতির কাছে। আর এ কারণেই করোনায় বিধ্বস্ত দেশগুলো ক্ষমতার দাপটে হলে চীনের সাথে কখনো সম্মুখ সমরে লিপ্ত হতে চাইবে না বলে মনে করছে অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
এই বৈশ্বিক সংকটেও অর্থনীতিতে ক্রমশ এগিয়ে যাওয়া চীন এখন সারা বিশ্বের নির্ভরতার প্রতীক। এই প্রকোপ শুরু হওয়ার পর গোটা বিশ্বে ১ কোটি ৩৬ লক্ষ মানুষ আক্রান্ত এই সংক্রমণে। আমেরিকা, যে কী না বিশ্বের সবথেকে শক্তিশালী দেশ, এই করোনার জেরে নুইয়ে পড়েছে। সব থেকে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ এখন সেটি। সেখানে ৩৩ লক্ষের বেশি আক্রান্ত। শুধু বেকারত্ব নয়, আমেরিকা তাদের প্রয়োজনীয় অ্যান্টিবায়োটিকের ৯৭ শতাংশ আমদানি করে চীন থেকে।
ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে ইতালির আমদানি করা প্রায় তিন-চতুর্থাংশ ব্লাড থিনার চীন থেকে আসে। প্রয়োজনীয় অ্যান্টিবায়োটিকের জাপান তাদের চাহিদার ৫০ শতাংশ এবং জার্মানি, ইতালি ও ফ্রান্স তাদের প্রয়োজনীয় অ্যান্টিবায়োটিকের ৪০ শতাংশ চীন থেকে আমদানি করে।
এই মহামারী আরও চোখে আঙুল দিয়ে সবাইকে দেখিয়ে দিচ্ছে যে চীনের উপর কতটা নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে গোটা বিশ্ব। আর এর ফলেই করোনা আবহেও ৩.২ শতাংশ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হয়েছে চীনের।
আমেরিকাতে গত কয়েক দিনে চাকরি হারানো ১ কোটি ৬০ লক্ষের বেশি মানুষ বেকারত্ব ভাতার জন্য আবেদন জানিয়েছে। ১৯৪৮ সালের পর এত বাজে অবস্থা কখনও হয়নি আমেরিকাতে। অর্থনীতি প্রায় ধসের মুখে সেখানে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এই পরিস্তিতে আমেরিকা কিংবা ক্ষমতাধর অন্যান্য দেশগুলো চীনের সাথে পাঙ্গা নিতে যাচ্ছে না। এই সংকট কাটতেও সময় লাগবে বেশ। তাই অদূর ভবিষ্যতেও চীনের সাথে কারও যুদ্ধের সম্ভাবনা নেই।