নিজস্ব প্রতিবেদক।। শহীদ আবদুর রব সেরনিয়াবাত (দপদপিয়া) সেতু-সংলগ্ন কর্ণকাঠী জিরো পয়েন্টে বরিশাল পটুয়াখালী মিনি বাস মালিক সমিতির অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে পরেছে হাজারো মানুষ, দিনের পর দিন মালিক সমিতির লোকজনের হাতে যাত্রী থেকে শুরু করে সাধারণ গাড়ি চালক পযর্ন্ত লাঞ্ছিত হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায়
শুক্রবার (০৭ আগস্ট) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে বরিশাল-পটুয়াখালী মহাসড়কের এলাকায় করে মাহেন্দ্র আলফা (থ্রি হুইলার) চলাচলে বাঁধা দেয়ায় । প্রতিবাদ করলে বাস মালিক-শ্রমিকরা থ্রি হুইলার চালকদের উপর হামলা করে এবং গাড়ি ভাঙচুর করে এতে বেশ কয়েকজন শ্রমিক আহত হয়।
এ ঘটনার প্রায় আড়াই ঘণ্টা সড়কে যান চলাচল বন্ধ থাকে বাস চলাচল বন্ধ করে দেয়। এতে এসব রুটে চলাচলকারী যাত্রীরা দুর্ভোগে পড়েন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে হামলার ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেয়। পুলিশের আশ্বাস পেয়ে সকাল ১০টা থেকে ফের যান চলাচল শুরু করে।
জানা যায়,, বরিশাল পটুয়াখালী মিনি বাস মালিক সমিতির সদস্যরা বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে এম্বুলেন্স থেকে শুরু করে বিভিন্ন যানবাহন থেকে যাত্রী নামিয়ে হয়রানি করছে। থ্রি- হুইলার জাতীয় গাড়ি থামিয়ে চাঁদাবাজি করা হয়।
তবে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের নাকের ডগায় এমন হয়রানীর চিত্র দেখা যায় প্রতিনিয়ত।
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন মহা সড়কে আলফা, মাহিন্দ্র, অটোবাইক থামিয়ে রোগী ও যাত্রী নামিয়ে দিচ্ছে। তাছাড়া বাস মালিক সমিতির লোকজন গাড়ি কাগজপত্র দেখতে চায়। ভ্রোর দিয়ে অটোরিক্সার চাকা,মাহিদ্রার চাকা সহ বিভিন্ন গাড়ির চাকা ফুটো করে দেয় তারা। আর সাধারণ মানুষরা মালিক সমিতির এমন আচরনের প্রতিবাদ করলে প্রতিনিয়ত হচ্ছে লাঞ্ছিত হামলার শিকার।
জাফর নামে এক যাত্রী বলেন, মালিক সমিতির সদস্যদের অাচরণ এবং দাপট এতটাই ক্ষিপ্ত, মনে হয় রাষ্ট্র তাদের বিশেষ কোন ক্ষমতা দিয়েছে। থ্রি-হুইলার নিষিদ্ধ হলে তা দেখবে, পুলিশ এবং প্রশাসন, কিন্ত কমান্ডো স্টাইলে গাড়ি থামিয়ে এমন ঘটনা দেখেও তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করছেন না।
এদিকে সাধারণ যাত্রী ও চালকদের লিখিত অভিযোগে জানা যায়,, মিনিবাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক কাওসার হোসেন শিপনের নেতৃত্বে থ্রি হুইলার চালকদের মারধর করা গাড়ি ভাঙচুর করার ঘটনা অনেকদিন যাবত চলে আসছে।
কয়েকজন পরিবহন চালকরা জানান, আমারা রুপাতলী বাসস্টান্ডের সামনের রাস্তা দিয়ে গাড়ি নিয়ে দক্ষিণাঞ্চল ও পশ্চিমাঞ্চলে আসা যাওয়ার সময় স্টান্ড ফির টাকা না দিলে তারা আমাদের পরিবহন চলাচলে বাধা সৃষ্টি করে। তাই আমরা নিরুপায় হয়ে তাদের চাঁদা দিয়ে থাকি।
কাওসার নামের একজন সিএনজি চালক বলেন আমি নলছিটির মোল্লারহাট থেকে একজন বৃদ্ধ রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে বাস মালিক সমিতির লোকজন আমার গাড়ি আটকে আমাকে চর থাপ্পড় মারেন এবং গাড়ির চাকা ভ্রোর দিয়ে ফুটে করার চেষ্টা করে। পরবর্তীতে আমি তাদের ২০০ টাকা দিয়ে অনুরোধ করে মুক্তি পাই।
আর এসব দেখেও নিরব ভূমিকা পালন করছেন মেট্রোপলিটন পুলিশ।
বরিশাল জেলা থ্রি হুইলার আলফা – মাহেন্দ্র মালিক সমিতির সভাপতি মোঃ মুশফিকুর রহমান দুলাল জানান, আমারা এব্যাপারে ট্রাফিক পুলিশের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছি।
এবিষয় বরিশাল – পটুয়াখালী মিনিবাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোঃ কাওছার হোসেন শিপন’র কাছে মুঠোফোনে বিস্তারিত জানতে চাইলে তিনি কোন সদুত্তর না দিয়ে সংযোগ টি বিচ্ছিন্ন করে দেন।
বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের এসি মুঠোফোনে জানান
মহাসড়কে থ্রি হুইলার চলাচল করা নিষেধ আছে। সে বিষয়ে ট্রাফিক পুলিশের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। কিন্তু বাস মালিক সমিতির লোকজন থ্রি হুইলার জাতীয় পরিবহনের গাড়ি থামিয়ে কাগজপত্র দেখতে চাওয়া, গাড়ি ভাংচুর ও চালকদের মারধর করা সম্পূর্ণ বেআইনি। এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
অপরদিকে বন্দর থানার (ওসি তদন্ত) আসাদুজ্জামান বরিশাল নিউজ২৪কে বলেন, বাস মালিক সমিতি থেকে একটি অভিযোগ পেয়েছি। মূল ঘটনাটি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বরিশাল – পটুয়াখালী মিনিবাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক কাওসার হোসেন শিপন ও তার সহযোগীদের বিভিন্ন অপরাধ ও দুর্নীতি নিয়ে বিস্তারিত আসছে……..