ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনে শতভাগ এবং দক্ষিণে ৯০ শতাংশ বর্জ্য অপসারণ হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৩ আগস্ট) দুই সিটির পৃথক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে উত্তরের (ডিএনসিসি) প্যানেল মেয়র জামাল মোস্তফা বলেন, এ বছর কোরবানি বর্জ্য ব্যবস্থাপনা চ্যালেঞ্জিং ছিল। তবে পূর্বঘোষিত ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই সাফল্যের সঙ্গে এ কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে।
তবে সংবাদ সম্মেলনে দক্ষিণের (ডিএসসিসি) মেয়র সাঈদ খোকন জানান, বর্জ্য অপসরণে ২৪ ঘণ্টায় সম্পন্ন হয়েছে ৯০ ভাগ কাজ।
সাঈদ খোকন বলেন, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বর্জ্য অপসারণের ঘোষণা দেয়া হয়েছিল। সে কাজ অনেকটাই সম্পন্ন হয়েছে। আগামীকালও কোরবানি হবে। সেগুলোও অপসারণ করে নগরবাসীকে শতভাগ পরিচ্ছন্ন নগরী উপহার দেব। ইতোমধ্যে ১৫ হাজার মেট্রিক টন বর্জ্য অপসারণ হয়েছে। বাকি বর্জ্য অপসারণে কাজ চলছে।
তিনি আরও বলেন, পশু জবাইয়ের স্থান নির্ধারিত করা হলেও নগরবাসীর সেভাবে সাড়া পাইনি। আশা করছি, আগামীতে নগরবাসী আরও সচেতন হবে।
প্যানেল মেয়র জামাল মোস্তফা জানান, স্বল্পসময়ে বিপুল পরিমাণ বর্জ্য অপসারণ এবং পরিচ্ছন্নতা কাজে ২৮০টি বিভিন্ন ধরনের যানবাহন ও যন্ত্রপাতি নিয়োজিত ছিল। ডিএনডিসির নিজস্ব ২৭০০ পরিচ্ছন্ন কর্মীসহ সর্বমোট ৯৫০০ মানুষ নিরলস পরিশ্রম করে শহর আবর্জনা মুক্ত করেছে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, এ বছর ডিএনসিসিতে আনুমানিক দুই লাখ ১৫ হাজার পশু কোরবানি হয়েছে। ডিএনসিসি পশু জবাইয়ে ১৮৩টি স্থান নির্ধারণ করেছিল। এ ছাড়া সরকারি ও ব্যক্তি মালিকানায় আবাসিক কমপ্লেক্সের অভ্যন্তরে উপযুক্ত স্থান হিসেবে চিহ্নিত ৩৬৬টি স্থানসহ মোট ৫৪৯টি স্থানে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক পশু কোরবানি হয়েছে।
ডিএনসিসি ও প্রাইমারি ওয়েস্ট সার্ভিস কালেকশন প্রোভাইডার/ভ্যান সার্ভিসের কর্মীরা বাসাবাড়ি থেকে বর্জ্য সংগ্রহ করে সেকেন্ডারি ট্রান্সফার স্টেশন (এসটিএস) এবং কন্টেইনারে জমা করে প্রতিটি ওয়ার্ডকে বর্জ্যমুক্ত করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বুধবার (২২ আগস্ট) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার মধ্যে উত্তরের ৭, ২৭ ও ৩১ নম্বর কাউন্সিলররা নিজ নিজ ওয়ার্ডকে কোরবানি বর্জ্যমুক্ত ঘোষণা করেন। এরপর ক্রমান্বয়ে অন্যান্য ওয়ার্ডকেও বর্জ্যমুক্ত ঘোষণা করা হয়। এসটিএস এবং নির্ধারিত স্থানে কন্টেইনারে বর্জ্য জমা হওয়ার পরপরই তা ল্যান্ডফিলে পরিবহনের কাজ শুরু হয়।
ডিএসসিসি ও ডিএনসিসির নগরভবনে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা খান মোহাম্মদ বিলাল, স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন, কলামিস্ট সৈয়দ আবুল মকসুদ, ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মেসবাহুল ইসলাম, ওয়ার্ড কাউন্সিলর আফসার উদ্দিন, তারেকুজ্জমান রাজিব, ডা. জিন্নাত আলী, দেওয়ান আব্দুল মান্নান, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা স্থায়ী কমিটির সভাপতি ওয়ার্ড কাউন্সিলর জাকির হোসেন বাবুল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।