রাজধানীর জিগাতলায় নিরাপদ সড়কের জন্য আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর লাঠি হাতে একদল যুবকের হামলার ঘটনার পর থেকে থেমে থেমে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া চলছে। শনিবার দুপুরের দিকে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ওই এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। এ সময় শিক্ষার্থী-সাংবাদিকসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়।
এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত (শনিবার বিকেল ৪টা) পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এ সময় পুলিশের সঙ্গে লাঠি হাতে একদল যুবককেও দেখা গেছে। ঘটনা বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের সদর দফতরের কাছে হওয়ায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালাচ্ছেন বিজিবি সদস্যরাও।
শনিবার দুপুরের দিকে জিগাতলার বিজিবি গেটের সামনে হেলমেট পড়া যুবকরাই শিক্ষার্থীদের ওপর লাঠি হাতে হামলা চালায়। তখন থেকে জিগাতলা, সাইন্সল্যাব ও ধানমন্ডি এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
এর আগে শনিবার সকাল থেকে জিগাতলা এলাকায় জড়ো হতে থাকে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অসংখ্য শিক্ষার্থী। ধীরে ধীরে তাদের সংখ্যা বাড়তে থাকে।
উল্লেখ্য, গেল ২৯ জুলাই দুপুরে রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কের কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের সামনে এমইএস বাস স্ট্যান্ডে জাবালে নূর পরিবহনের একটি বাসচাপায় নিহত হন মিম ও করিম নামে দুই শিক্ষার্থী। ওই দুর্ঘটনায় ১০-১৫ জন শিক্ষার্থী আহতও হন। এ ঘটনায় দিয়ার বাবা ওই দিনই ক্যান্টনমেন্ট থানায় একটি মামলা করেন।
দুই শিক্ষার্থী নিহত হওয়ার পর থেকেই নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলন করে আসছেন শিক্ষার্থীরা। শনিবার তাদের আন্দোলনের সপ্তম দিনেও স্থবির হয়ে রয়েছে রাজধানী ঢাকা। নিরাপত্তাহীনতার অজুহাতে ঢাকা শহরের সব রুটে বাস চলাচল বন্ধ রেখেছেন পরিবহন মালিকরা।