পাবনায় নারী সাংবাদিক সুবর্ণা নদী হত্যার কারণ উদঘাটনে কয়েকটি ইস্যু নিয়ে পুলিশ মাঠে নেমেছে। ইতোমধ্যে তার সাবেক শ্বশুর পাবনার ইদ্রাল ইউনানি কোম্পানি ও শিমলা ডায়াগনস্টিকের মালিক আবুল হোসেনকে আটক করেছে পুলিশ।
বড় বোন চম্পা খাতুন সাংবাদিকদের কাছে দাবি করেছেন- পাবনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে আদালতে একটি যৌতুক মামলা করেন। এ মামলায় সুবর্ণা তার সাবেক স্বামী রাজীব ও তার বাবা আবুল হোসেনসহ তিনজনকে আসামি করেন। মামলাটি আদালতে বিচারাধীন। মঙ্গলবার (২৮ আগস্ট) এ মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন তিনি। এ মামলার কারণেই সুবর্ণাকে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন চম্পা খাতুন।
সুবর্ণা নদী জেলার আটঘরিয়া উপজেলার একদন্ত গ্রামের মৃত আইয়ুব আলীর মেয়ে। আবুল হোসেনের ছেলে রাজীবের সঙ্গে তিন-চার বছর আগে বিয়ে হয়েছিল সুবর্ণার। বছরখানেক আগে তাদের ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। সুবর্ণা স্বামী ও শ্বশুরের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ এনে ঢাকায় ও পাবনায় সংবাদ সম্মেলন করেছিলেন। জীবন আশঙ্কায় তিনি অাইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ সংশ্লিস্টদের সহযোগিতা চেয়েছিলেন।
উল্লেখ, পাবনা পৌর সদরের রাঁধানগর মহল্লায় আদর্শ গার্লস হাইস্কুলের সামনে ভাড়া বাসায় ফেরার পথে বাসার সামনেই কয়েকজন দুর্বৃত্ত তাকে উপর্যুপরি কুপিয়ে রক্তাক্ত করে পালিয়ে যায়। তাৎক্ষণিক তাকে উদ্ধার করে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
সুবর্ণা ‘আনন্দ টিভি’র পাবনা প্রতিনিধি ছিলেন। অনলাইন পোর্টাল দৈনিক জাগ্রতবাংলার সম্পাদক ও প্রকাশক ছিলেন। পাশাপাশি পাবনা বার্তা ২৪ ডটকমসহ কয়েকটি গণমাধ্যমে কাজ করতেন।
এর আগেও সুবর্ণার একবার বিয়ে হয়েছিল। সেই সংসারের জান্নাত নামের ৬ বছরের কন্যা সন্তান ও মাকে নিয়ে শহরের রাঁধানগর মহল্লায় আদর্শ গার্লস হাইস্কুলের সামনে বাসা ভাড়া থাকতেন।