আনন্দ টিভির পাবনা প্রতিনিধি এবং স্থানীয় অনলাইন পোর্টাল ‘দৈনিক জাগ্রত বাংলা’র সম্পাদক ও প্রকাশক নারী সাংবাদিক সুবর্ণা হত্যাকাণ্ড নিয়ে এখনো কোনো রহস্য উদ্ধার হয়নি। মঙ্গলবার (২৮ আগস্ট) রাত ১০টার দিকে জেলার রাধানগরে তার বাসার সামনে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।
জানা যায়, ফেসবুক নিয়ে সমস্যায় ছিলেন তিনি। তবে কী ধরণের সমস্যায় তিনি ছিলেন তার কিছু তিনি প্রকাশ করেননি। তবে জুলাই মাসের ১৫ তারিখে একটি সংবাদের লিংক শেয়ার করেন সুবর্ণা; যে পোস্টটি তার শেয়ার করা সর্বশেষ ক্রাইম রিপোর্ট। ১৫ জুলাই তার ওই পত্রিকায় ‘পাবনার ভাঙ্গুড়ায় বিয়ের প্রলোভনে অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রীকে ধর্ষণ’ শিরোনামে প্রকাশিত একটি সংবাদের লিংকটি তিনি ফেসবুকে শেয়ার করেন।
ওই সংবাদে স্থানীয় ভাঙ্গুড়া প্রতিনিধির বরাত দিয়ে ভাঙ্গুড়ায় এক যুবক বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে (১৪) বছরের এক অষ্টম শ্রেনির ছাত্রীকে রাতভর ধর্ষণ করেছে; এমন অভিযোগের খবর প্রকাশ করা হয়ে। খবরে উপজেলার দিলপাশার ইউনিয়নের পাঁচ বেতুয়ান গ্রামের এক কিশোরীকে পার্শ্ববর্তী বেতুয়ান ফকিরপাড়া গ্রামের ঘাট মাঝি আবু সাম এর ছেলে সুজনের (২০) প্রেমের সম্পর্কের জেরে এ ঘটনা ঘটেছে বলে উল্লেখ করা হয়। ওই খবরে বলা হয়েছে, ‘প্রেমিক সুজন ফোন করে প্রেমিকা কিশোরীকে বিয়ে করবে বলে জানায় এবং কিশোরীকে বাড়ি থেকে টাকা আনতে বলে। প্রেমিকের কথা মতো কিশোরী বাড়িতে থাকা ৩০ হাজার টাকা নিয়ে প্রেমিকের কাছে যায়। এসময় প্রেমিক তার বন্ধু নাঈম ও শাহাবুদ্দিনের সহযোগিতায় পার্শ্ববর্তী উল্লাপাড়া উপজেলার বাঘমাড়া বেতকান্দী গ্রামে তার খালার বাড়িতে যায়। এরপর লম্পট প্রেমিক তার খালার বাড়িতে প্রেমিকা কিশোরীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে সারারাত ধর্ষণ করে। পরদিন সকালে প্রেমিক কাজী ডেকে আনার কথা বলে কিশোরী প্রেমিকার কাছে থাকা ওই টাকা নিয়ে উধাও হয়ে যায়। পরে প্রেমিকের খালার পরিবার কিশোরীকে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়। এরপর ধর্ষণের শিকার কিশোরী তার পরিবারকে বিষয়টি জানালে স্থানীয় গ্রাম প্রধান ও নেতাকর্মীদের জানায় কিশোরীর পরিবার।’
এদিকে সুবর্ণার তার পুরাতন আইডি ‘Shobarna Nodi’ থেকে গত গত ১২ আগস্ট একটি পোস্ট দেন; যেখানে ‘সুবর্ণা নদী’ নামের আরেকটি আইডিতে বন্ধুতের ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট পাঠাতে বলেছিলেন। ‘সুবর্ণা নদী’ নামের নতুন আইডির লিংটি তিনি পুরাতন আইডিতে পোস্ট করে লিখেছিলেন, ‘আমার এই আইডিতে একটু প্রব্লেম হয়েছে। সবাই আমার এই আইডিতে রিকুয়েস্ট পাঠান