সিটি চিকলী পার্কের উদ্বোধন জন্য মালামাল ক্রয় না করে ভুয়া ভাউচারের মাধ্যমে ক্রয় দেখিয়ে ৮ লাখ ১৮ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে রংপুর সিটি করপোরেশনের বর্তমান ও সাবেক তিন কাউন্সিলর এবং ২ প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন(দুদক)।
রবিবার রাতে কোতোয়ালী থানায় দুদক রংপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপ-সহকারী পরিচালক প্রবীর কুমার দাস বাদী হয়ে মামলাটি করেন বলে সোমবার জেলা দুদকের উপপরিচালক মোজাহার আলী সরদার জানিয়েছেন।
আসামিরা হলেন ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের তৎকালীন ও বর্তমান কাউন্সিলর সেকেন্দার আলী, ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর শফিকুল ইসলাম দুলাল, ও ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর আকরাম হোসেন, সহকারী প্রকৌশলী আসাদুজ্জামান চৌধুরী এবং উপ-সহকারী প্রকৌশলী নূর মো. মহিউদ্দিন।
মামলার বাদী প্রবীর কুমার বলেন, “২০১৪-১৫ অর্থবছরে সিটি চিকলী পার্কের উদ্বোধন ও অন্যান্যা সার্বিক ব্যবস্থপনার জন্য একটি কমিটি গঠন করে সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ। ১১ সদস্যের এই কমিটির আহ্বায়ক ছিলেন তৎকালীন কাউন্সিলর শফিকুল ইসলাম দুলাল। বাকিরা ছিলেন সদস্য”।
“সহকারী প্রকৌশলী আসাদুজ্জামান চৌধুরী পরে ব্যয়ের যে হিসাব ব্যবস্থাপনা কমিটির কাছে উপস্থাপন করেন, সেখানে ৫৪ লাখ ৪০ হাজার ৩৫৫ টাকা খরচ দেখানো হয়। ৭৫টি ভাউচার দেখিয়ে ওই অর্থ উত্তোলন করা হয়”।
ওই ৭৫টি ভাউচারে মধ্যে ১৮টি ছিল ‘ভুয়া’। আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে মামলামাল ক্রয় না করে ১৮টি ভুয়া ভাউচারের মাধ্যমে তা ক্রয় দেখিয়ে আট লাখ ১৮ হাজার ১৩১ টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে মামলায়”।
এতে আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৯, ৪২০ ও ১০৯ ধারা এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে বলে প্রবীর কুমার জানিয়েছেন।
ওই ঘটনায় অনুসন্ধান শেষে রবিবার দুদকের প্রধান কার্যালয় এ মামলা দায়েরে অনুমোদন দিয়েছে বলে রংপুর দুদকের উপ পরিচালক মোজাহার আলী সরদার জানান।