স্টাফ রিপোর্টার//রেজয়ানুর রহমান সফেন:
১৫ আগস্টের সেই হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়া জড়িত ছিলেন বলে জানান স্মৃতিচারণমূলক সভা অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি পার্বত্য শান্তি চুক্তি বাস্তবায়ন কমিটির আহবায়ক (মন্ত্রী পদমর্যাদা) আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ এমপি। নির্মম এ হত্যাকাণ্ডের জন্য খালেদা জিয়ার বিচারও চাইলেন তিনি।
তিনি বলেন, বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে নৃশংস হত্যাকাণ্ড ১৫ আগস্টে বঙ্গবন্ধুসহ তার পরিবারের সবাইকে হত্যা। ঘাতকেরা চেয়েছিলো বঙ্গবন্ধুর পরিবারকে নিশ্চিহ্ন করে দিতে। কিন্তু অলৈকিকভাবে বেচে যাই আমারা কয়েকজন। পরিবারের বেশিরভাগ সদস্যদেরকেই হত্যা করা হয় সেদিন।
তিনি আরও বলেন, সেদিনের সেই হত্যাকাণ্ডের সাথে যারা সরাসরি জড়িত ছিলো তাদের নিয়ে মন্ত্রীসভা কারা গঠন করেছে সেটা আপনারাই জানেন। হত্যাকাণ্ডের পর আওয়মী লীগের সকল সভা সমাবেশ বন্ধেরও ঘোষনা দিয়েছিলেন তারা। বঙ্গবন্ধুর পরিবাবের সকল সদস্যকে হত্যা করতে পেরেছ ভেবে তখন ঘাতকরা উল্লাসে মেতে ওঠে।
শোকাবহ আগষ্টের কর্মসূচীর অংশ হিসেবে এই প্রথম বরিশালের ইতিহাসে বৃহত স্মরণ সভার আয়োজন করেছে বরিশাল জেলা প্রশাসন। আজ সকাল ১১টায় নগরীর বঙ্গবন্ধু উদ্যানে দোয়া মোনাজাত, স্মৃতিচারণমূলক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বরিশাল জেলা প্রশাসক এস.এম অজিয়র রহমানের সভাপতিত্বে স্মৃতিচারণমূলক সভা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য শান্তি চুক্তি বাস্তবায়ন কমিটির আহবায়ক (মন্ত্রী পদমর্যাদা) ও শহীদ আঃ রব সেরনিয়াবাতের পুত্র আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ এমপি।
অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন শহীদ আঃ রব সেরনিয়াবাতের গুলিবিদ্ধ হওয়া পুত্রবধূ ও বরিশাল জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শাহান আরা বেগম।
এসময় স্মৃতিচারণমূলক সভায় প্রথান আলোচকের বক্তব্যে শাহান আরা বেগম নিজে কাঁদলেন এবং উপস্থিত সবাইকে কাঁদালেন। তিনি বললেন সে দিনের সেই স্মৃতি আজও আমাকে কাঁদায়। এক মুহুর্তের জন্য সে দিনের সেই নির্মম হত্যা কাণ্ডের কথা ভুলতে পারিনা।
তিনি বলেন, ১৫ আগস্টের সেই নির্মম হত্যাকাণ্ড চালানোর সময় আমার গায়ে ৩টা গুলি লাগে যা এখনও আমি শরীরে বহন করে চলছি। হত্যাকারীদের গুলিতে আমর শিশু সন্তান সুকান্ত বাবু মারা গেলেও আমার কোলে থাকা আজকের বরিশালি সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ বেঁচে যায়। আমার গায়ে গুলি লাগায় আমি রক্তাক্ত হয়ে পড়ে থাকার কারনে হত্যাকারীরা বুজতে পেরেছিলো আমি মারা গেছি। কিন্তু আপনাদের দোয়ায় আমি আজও বেঁচে আছি। বেচে আছে আমার সন্তান সাদিক আবদুল্লাহ।
এসব কথা বলতে বলতে তিনি কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। দীর্ঘ সময় বক্তব্য থামিয়ে কান্না শেষ করে আবার বক্তব্য শুরু করেন। আবার কাঁদেন। কান্না যেন থামাতে পারছিলেন না তিনি। তার কান্না দেখে উপস্থিত সকলের চোঁখ থেকে পানি পড়তে শুরু করে। উপস্থিত কেউই চোঁখের পানি ধরে রাথতে পারলেন না। সবাই যেন স্তব্ধ হয়ে গেছিলেন। কোন সাড়া শব্দ ছিলোনা। সবাই সুনছিলেন তার কথা। এমন নির্মমতার কথা যেন কেউ এর আগে কখনও শোনেন নি।