25 C
Dhaka
জানুয়ারি ৩১, ২০২৫
Bangla Online News Banglarmukh24.com
খুলনা জেলার সংবাদ

২২শ’ কোটি টাকা ব্যয়ে খুলনায় স্যুয়ারেজ লাইন বসাবে ওয়াসা

খুলনা প্রতিনিধি/জান্নাতুল ফেরদৌস:

ধীনতার ৪৮ বছর পর খুলনায় পয়ঃনিষ্কাশন (স্যুয়ারেজ) লাইন বসাতে যাচ্ছে খুলনা ওয়াসা। আগামী নভেম্বর মাসে ৪টি প্যাকেজে প্রকল্পের দরপত্র আহ্বান করা হবে। এতে ব্যয় হবে ২ হাজার ২০০ কোটি টাকা। এশিয়ান উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) এই প্রকল্পে অর্থায়ন করছে। সব ঠিক থাকলে আগামী নতুন অর্থবছর থেকে সুয়্যারেজ প্রকল্পের কাজ শুরু হবে।

ওয়াসার কর্মকর্তারা জানান, প্রকল্পের আওতায় নগরীর সীমান্তবর্তী মাথাভাঙ্গা মৌজায় ১২ একর জমিতে একটি এবং ঠিকারাবাঁধে ২২ একর জমিতে আরেকটি বর্জ্য শোধনাগার নির্মাণ হবে। এর মধ্যে মাথাভাঙ্গা মৌজায় প্রতিদিন ৩ কোটি লিটার এবং ঠিকারাবাঁধে প্রতিদিন ৬ কোটি লিটার বর্জ্য পরিশোধন করা হবে। এছাড়া নগরীর বিভিন্ন এলাকা থেকে মাথাভাঙ্গা পরিশোধন কেন্দ্রে বর্জ্য নিয়ে যেতে ১১০ কিলোমিটার পাইপলাইন এবং ৩টি পাম্প স্টেশন, ঠিকারাবাঁধ শোধনাগারে বর্জ্য নিয়ে যেতে ১৪০ কিলোমিটার পাইপ লাইন এবং ৭টি পাম্প স্টেশন বসানো হবে। মাটির ৮ থেকে ১২ ফুট গভীরতায় এসব পাইপ বসানো হবে।

ইতোমধ্যে নগরীর ভেতরে পাম্প স্টেশন নির্মাণের জন্য ১০টি এলাকায় এবং শোধনাগার নির্মাণের জন্য দুটি এলাকায় জমি অধিগ্রহণের কাজ চলছে। সূত্রটি জানায়, মাটির গভীরে পাইপ বসানো হবে সড়কখুঁড়ে। তবে বিদেশ থেকে পাইপ এনে সেই পাইপ বসাতে কমপক্ষে আড়াই থেকে ৩ বছর সময় লাগবে। ওয়াসা সূত্রে জানা গেছে, খুলনায় এখন গৃহস্থালী, মানুষের ও শিল্প বর্জ্য নিষ্কাশন হয় উন্মুক্ত পরিবেশে।

সেপটিক ট্যাংক থেকে পানি বাড়ির পাশের ছোট ড্রেন, সেখান থেকে বড় ড্রেন, এরপর খাল দিয়ে বর্জ্য নদীতে চলে যায়। বাড়ির আশপাশ ও বড় ড্রেনগুলোর ৮০ ভাগই উন্মুক্ত। এজন্য বড় ধরনের স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছে খুলনার মানুষ। ২০০৮ সালের ৫ মার্চ খুলনা পানি সরবরাহ ও পয়ঃনিষ্কাশন কর্তৃপক্ষ (ওয়াসা) গঠন করা হলেও এর ১১ বছর তারা পয়ঃনিষ্কাশনের কাজ শুরু করতে যাচ্ছে।

প্রকল্প থেকে জানা গেছে, প্রথম পর্যায়ের প্রকল্পে নগরীর ১১ থেকে ৩১ নম্বর ওয়ার্ডে কাজ হবে। এসব ওয়ার্ডের প্রতিটি বাড়ির সামনেই ওয়াসার পয়ঃনিষ্কাশনের পাইপ থাকবে। মানুষের বাড়ির ময়লা পানি ও সেপটিক ট্যাংকের পানি পড়বে এই লাইনে। এরপর পাইপে করে বর্জ্য নগরীর ভেতরের ১০টি পাম্প স্টেশনে যাবে। সেখান থেকে পাম্প করে বর্জ্য দুটি শোধনাগারে পাঠানো হবে। শোধনাগারে পরিশোধনের পর কোনো প্রতিষ্ঠান পানি নিতে চাইলে তাদের দেওয়া হবে, না চাইতে পানি নদীতে ফেলে দেওয়া হবে। প্রথম প্রকল্পের কাজ শেষ হলে দ্বিতীয় পর্যায়ে নগরীর ১ থেকে ১০ নম্বর ওয়ার্ডের জন্য পৃথক প্রকল্প করা হবে।

এসব এলাকার বর্জ্য পরিশোধনের জন্য এখনই আড়ংঘাটার শলুয়া এলাকায় জমি অধিগ্রহণ করা হবে। খুলনা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী মোঃ আবদুল্লাহ জানান, প্রাকসম্ভাব্যতা জরিপ পরিচালনার পর এডিবি প্রকল্পে অর্থায়ন করতে সম্মত হয়। এরপর জমি অধিগ্রহণ ও প্রকল্পের নকশা প্রণয়নের কাজ শুরু হয়। আগামী অক্টোবর মাসে নকশা প্রণয়নের কাজ শেষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

নভেম্বর মাসেই প্রকল্পের আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বান করা হবে। তিনি জানান, প্রথম পর্যায়ের প্রকল্পে নগরীর ৬০ ভাগ এলাকা নিয়ে কাজ করা হচ্ছে। এতে ২ হাজার ২০০ কোটি টাকা ব্যয় হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। নকশা প্রণয়নের কাজ শেষ হবে ব্যয় বাড়তে বা কমতে পারে।

তিনি জানান, এখন যেসব স্থানে ড্রেন রয়েছে তার নিচেই বসবে এসব পাইপলাইন। প্রতিটি পাইপ মাটির ৮ থেকে ১২ ফুট নিচ দিয়ে যাবে। এজন্য নগরীতে উন্মুক্ত কোনো বর্জ্যরে ড্রেন থাকবে না।

সম্পর্কিত পোস্ট

বিএনপির নাম ভাঙ্গিয়ে ইজারা বহির্ভূতভাবে শেরপুর সীমান্তে বালু উত্তোলনের মহোৎসব

banglarmukh official

খু‌ড়ি‌য়ে খু‌ড়ি‌য়ে চল‌ছে শেরপু‌রের তৃতীয় লি‌ঙ্গের আবাসন কেন্দ্রটি

banglarmukh official

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আগুন

banglarmukh official

জাহাজে ডাকাতিতে বাধা দেওয়ায় হত্যা করা হয় ৭ জনকে

banglarmukh official

স্বামীকে ঢাকায় পাঠিয়ে গৃহবধূকে ধর্ষণ, আদম বেপারি গ্রেফতার

banglarmukh official

টঙ্গীতে জোড় ইজতেমার আখেরি মোনাজাত কাল

banglarmukh official