বরগুনার আমতলীতে নবম শ্রেনীর এক ছাত্রী(১৪)কে অপহরন করে নিয়ে ঘরে তালাবদ্ধ করে রাখার অভিযোগে বরগুনা বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যালে মামলা দায়ের করেছেন ছাত্রীর পিতা উপজেলার মধ্যে চন্দ্রা গ্রামের মো, জামাল হোসেন। বিজ্ঞ আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে আমতলী থানাকে এফআইআর গ্রহনের আদেশ দিয়েছেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, উপজেলার মধ্যচন্দ্রা গ্রামের জামাল হোসেনের কন্যা আমতলী এ,কে সরকারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেনীর ছাত্রী (১৪) প্রতিদিনের ন্যায় ৫ আগষ্ট বাড়ী থেকে স্কুলের সামনে পৌছা মাত্র মামলার আসামী উপজেলার চলাভাঙ্গা গ্রামের নাসির হাওলাদারের পুত্র শামিম হাওলাদার (২২) একটি মটরসাইকেলে এসে পিছন থেকে ঐ ছাত্রীর মুখ চেপে ধরিয়া ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর পূর্বক মটরসাইকেলে উঠাইয়া নিয়ে যায়। স্কুল ছাত্রীটি স্কুল থেকে বাড়ী ফিরে না যাওয়ায় অনেক খোজাখুজি করে ও তাকে পাওয়া যায়নি বলে তার পরিবার সূত্রে জা যায়। ঐদিন রাতে স্কুল ছাত্রী মোবাইলফোনে পিতা জামাল হোসেনকে জানান তাকে জোর করে ধরে নিয়ে মামলার আসামী শামিম হাওলাদার তার বাড়ীতে একটি ঘরের মধ্যে তালাবদ্ধ করে রেখেছে। এ খবর শুনে স্কুল ছাত্রীর পিতা জামাল হোসেন মামলার আসামী শামীমের বাড়ীতে গিয়ে খোজ নিতে গেলে শামিম(২২) ও তার পরিবারের লোকজন জানান, স্কুল ছাত্রীকে শামীমের সাথে বিবাহ দিলে তার মেয়েকে বের করে দিবেন। অনেক চেষ্ট করেও বাদী তার মেয়েকে উদ্ধার করতে না পেরে ২৫ আগষ্ট বরগুনা বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যালে শামীম হাং (২২) নাসির হাং (৪২) নাছিমা বেগম(৪০) গেন্দু হাং (৫৭)কে আসামী করে মামলা দায়ের করেন। বিজ্ঞ আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে এফ আই আর গ্রহন করে স্কুল ছাত্রীকে উদ্ধারের আদেশ প্রদান করেন।
মামলা দায়ের করার পর মামলার আসামীরা স্কুল ছাত্রীর পিতা মামলার বাদী জামাল হোসেনকে ও তার পরিবারের সদস্যদের মামলা তুলে নেয়ার হুমকি দিতেছেন বলে সাংবাদিকদের জানান।
এ ব্যপারে আমতলী থানার ওসি (তদন্ত) মনোরঞ্জন মিস্ত্রী মুঠোফোনে জানান, আদালতের আদেশ প্রাপ্তি সাপেক্ষ আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।