কিমের দেশ উত্তর কোরিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় চলছে। প্রশান্ত মহাসাগরের পার্শ্ববর্তী দ্বীপ গুয়ামে মাঝারি ধরনের চারটি পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানোর হুমকি দিচ্ছে পিয়ংইয়ং। অন্যদিকে ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের উপর সামরিক হামলা চালানোর ব্যাপারে পিয়ংইয়ংকে সতর্ক করে দিয়েছেন।
দেশ দু’টির মধ্যে চলমান কথার লড়াইয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিশ্বনেতারা। কথার এই লড়াই পরিস্থিতিকে আরও অশান্ত করে তুলবে বলে অাশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তারা। তারপরেও কোনো পক্ষের দিক থেকেই ক্ষান্ত হওয়ার আলামত মিলছে না।
এর আগে ট্রাম্প দাবি করেন, মার্কিন সেনাবাহিনী গুলি ভরা বন্দুকের মতই সতর্ক রয়েছে। ট্রাম্পের ওই বক্তব্যে শোরগোল পড়ে যায়। ওই বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় উত্তর কোরিয়া অভিযোগ করে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প পরিস্থিতিকে একটি পারমানবিক যুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যাচ্ছেন।
ট্রাম্প এবার নিউই জার্সিতে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে বলেন, তিনি তার আগের ওই বক্তব্যে এখনও অটল রয়েছেন। তিনি আরও বলেন, খুব সতর্কতার সঙ্গে আমরা পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছি। আমার কথার মাধ্যমে পরিস্থিতির গুরুত্ব সম্পূর্ণ রূপে উত্তর কোরিয়া অনুধাবন করতে পেরেছে বলেই মনে হয়। আমার ওপর আস্থা রাখুন। এই লোক (কিম) যা করছে, তাতে তিনি পার পাবেন না।
দেশ দুটির নেতাদের কথার লড়াইয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বিশ্বের শক্তিশালী দেশগুলোর নেতারা। রাশিয়ার ধারণা, কথার লড়াইয়ের কারণে পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে যাওয়ার মারাত্মক ঝুঁকি তৈরি হচ্ছে।
রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ বলছেন, পরিস্থিতি যখন এমন হয়ে যায় যে যেকোনো সময় পারমাণবিক হামলা হবে, সেরকম পরিস্থিতিতে অামার মনে হয় পরিস্থিতি শান্ত করার প্রথম উদ্যোগটা শক্তিশালী এবং চটপটে পক্ষকেই নিতে হবে।
ল্যাভরভের এই ইঙ্গিত যে যুক্তরাষ্ট্রের দিকে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। কথার এই লড়াইকে একেবারেই ভুল হিসেবে দেখছেন জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মেরকেল। এদিকে চীন জানিয়েছে, উভয় পক্ষই যেন শব্দ এবং বাক্য চয়নের ব্যাপারে সতর্ক হয়। বিবিসি বাংলা।