ভেনেজুয়েলার মুদ্রাস্ফীতি এখন পাগলা ঘোড়া, কোনোভাবেই থামানো যাচ্ছে না। লোকে বস্তা ভর্তি নোট নিয়ে বাজারে যাচ্ছেন, কিন্তু সেই টাকায় কী কেনা যাচ্ছে? আইএমএফের হিসেবে এ বছর ভেনেজুয়েলার মুদ্রাস্ফীতির হার দাঁড়াবে দশ লাখ শতাংশে!
টাকার দাম সেখানে এতটাই কম, যে খোলা বাজারে আর পাঁচটি জিনিসের মতো বিকোচ্ছে টাকাও। চোর ডাকাতেরও আগ্রহ নেই টাকার উপরে। যদি ১০০ ডলার সোমালি টাকায় পরিণত করা হলে, রীতিমতো বস্তায় ভরে নিয়ে যেতে হবে।
ভেনেজুয়েলার পরিস্থিত সেই পরিস্থিতিকেও ছাড়িয়ে গেছে বলেই মনে করা হচ্ছে। ধসে পড়েছে দেশের অর্থনীতি। যেখানে একটি গাজরের দাম পড়ছে বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৯৫০ টাকা। এক কিলো চালের দাম ৮৫০ টাকা। এক বান্ডিল টয়লেট পেপারের দাম বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ১২০০ টাকা। গত জুলাই মাসেই সেদেশের মুদ্রাস্ফীতির হার ছিল ৮২,৭০০ শতাংশ। এখন সেটা আরও বেড়েছে।
ভেনেজুয়েলার শহর মারাকাইবোর বাসিন্দা অ্যালিসিয়া রামিরেজ বলেন, আমজনতার নাভিশ্বাস উঠেছে। মানুষ উন্মাদ হয়েছে। জানি না সরকার কী করছে। জানি না, কীভাবে রেহাই মিলবে। ক্রয়ক্ষমতা সাধারণ মানুষ দূরের কথা, অবস্থাপন্নদেরও হাতের বাইরে চলে যাচ্ছে।
বিশেষজ্ঞদের অনুমান, বছর শেষে মুদ্রাস্ফীতির হার দাঁড়াবে প্রায় ১০ লাখ শতাংশের কাছাকাছি। বর্তমান প্রসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বাজারে নোটের যোগান একটু বাড়িয়ে ছিলেন। কিন্তু সেই কৌশলও ব্যর্থ হয়েছে। বিবিসি