ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থীদের বহন করা একটি বাস ব্রেক ফেল করে তিন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। বাসটি ওই সময় বাম পাশে হেলে গিয়ে ফ্লাইওভারের পাশে লাগানো লোহার জালে ধাক্কা খায়। দরজা-জানালায় ঝুলে থাকা ছাত্রদের তিনজন এ সময় বাস থেকে ছিটকে পড়েন। এতে একজনের মাথা ফেটে গেছে, দুজন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
আজ বুধবার সকালে রাজধানীর চানখাঁরপুল এলাকায় মেয়র হানিফ ফ্লাইওভার থেকে নামার সময় এ দুর্ঘটনা ঘটে। আহত তিন শিক্ষার্থী হলেন ফলিত রসায়ন বিভাগের মো. জাওয়াদ, তথ্য ও প্রযুক্তি ইনস্টিটিউটের আমিনুল ইসলাম ও ফলিত গণিত বিভাগের আজিজুর রহমান। তাঁদের মধ্যে জাওয়াদের মাথা ফেটে গেছে। তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
‘ইন্দ্রাকপুর’ নামের বাসটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মুন্সিগঞ্জে যাতায়াত করে। ওই বাসে থাকা এক ছাত্রী বলেন, অন্যদিনের তুলনায় আজ বাসে অনেক বেশি শিক্ষার্থী ছিলেন। অনেকেই বাসের দরজায় ঝুলে ছিলেন, জানালার পাশে বসে ছিলেন। হানিফ ফ্লাইওভার থেকে নামার সময় একজন নামতে চাইলেও বাস দাঁড়াচ্ছিল না। বাসের চালক ‘ব্রেক ফেল’ হয়েছে বলতে থাকেন। এতে ঝুলে থাকা শিক্ষার্থীরা হুড়োহুড়ি করে ভেতরে ঢুকতে চান। এ সময় বাসটি বাম পাশে কাত হয়ে ফ্লাইওভারের দেয়ালে বসানো লোহার খাঁচার সঙ্গে ধাক্কা খায়। ফলে দরজা-জানালায় ঝুলতে থাকা তিন-চারজন নিচে পড়ে যান। এর পরপরই চালক বাসটি থামাতে সক্ষম হন।
বাসের চালক রেজাউলের মুঠোফোনে একাধিকবার চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন ব্যবস্থাপক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘মুন্সিগঞ্জ থেকে আসার পথে শনির আখড়া এলাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বহন করা বিআরটিসির কয়েকটি বাস চলমান আন্দোলনে আটকে যায়। ফলে সামনে থাকা এই বাসটিতে প্রায় তিন গাড়ির যাত্রী ছিল। বাসের দরজা-জানালায় অনেকেই ঝুলে ছিল। একপর্যায়ে ব্রেক ফেল করায় বাসটি একদিকে হেলে যায় বলে চালক ও সহকারীর ভাষ্য। তারপরও প্রকৃত ঘটনা জানতে প্রধান কারিগরি কর্মকর্তা আবদুল হালিমকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মুহাম্মদ সামাদ বলেন, ‘এটি একটি দুর্ঘটনা। আমরা আহতদের খোঁজ নিয়েছি। তাঁরা শঙ্কামুক্ত। তারপরও এখানে কারও ত্রুটি-বিচ্যুতি আছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কিন্তু এর বাইরে বাসের সংখ্যা কম হওয়াটা আমাদের মূল সমস্যা। শিক্ষার্থীরা বাদুড়ঝোলা হয়ে যাতায়াত করে। সেগুলোর সমাধান কীভাবে করা যায় আমরা দেখছি।’